সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
টস জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো বাংলাদেশ ছয় মাসে রাজস্ব আহরণ বেড়েছে ১৩.৯ শতাংশ: অর্থমন্ত্রী সোনার দাম আরও বাড়লো ব্যর্থতা ঝেড়ে বিশ্বকাপ রঙিন করার প্রত্যাশা জ্যোতির পালিয়ে বাংলাদেশে এলেন আরও ৮৮ বিজিপি সদস্য এবি ব্যাংক পিএলসি যশোরে স্মার্ট কার্ডে নারী উদ্যোক্তা ঋণ স্মরণে বঙ্গবন্ধু ঢাকায় আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপে তীব্র তাপপ্রবাহের পর হবিগঞ্জে ঝড়-শিলাবৃষ্টি গুচ্ছের বি ইউনিটের ফল প্রকাশ তাপপ্রবাহ এবারই শেষ নয়, প্রস্তুতি শুরুর পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হাওরের প্রায় শতভাগ বোরো ধান কাটা শেষ ২৪ ঘণ্টায়ও নেভেনি সুন্দরবনের আগুন, সময় লাগবে ২-৩ দিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ সরকারি সফরে অস্ট্রেলিয়া গেলেন বিমান বাহিনী প্রধান সরকার তৃণমূল মানুষের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকের উপর হামলা, প্রতিবাদে ক্র্যাবের মানববন্ধন উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করুন: রিজভী গ্যাস পাচ্ছেন গোপালগঞ্জবাসী অপারেশনের নামে হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেতেন মিল্টন সমাদ্দার আশ্রমকাণ্ডে দায় এড়াতে পারেন না মিল্টনের স্ত্রী

পুনর্নির্বাচনের জন্য আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি আন্দোলন- মির্জা ফখরুল

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮
  • ২৮০ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকের বিষয়টি আইওয়াশ বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বিদেশি পর্যবেক্ষক আসার বিষয়টি আওয়ামী লীগের আইওয়াশ। ভারতের যে কয়জন এসেছে তারা পর্যবেক্ষক হিসেবে নয় সরকারের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এসেছে।

ফখরুল বলেন, ‘এখানে ভারতসহ যাদের আসার কথা ছিল তাদের ভিসা দেয়া হয়নি। ইইউ কোনো প্রতিনিধি পাঠায়নি, দুই জনের একটা মনিটরিং টিম পাঠিয়েছে। ভারত এবং কানাডিয়ানরা অফিসিয়ালি কি পাঠিয়েছে জানি না।’

নির্বাচনে জয় লাভে সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করেছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্রযন্ত্র বলতে শুধু পুলিশ নয়, বিচার বিভাগ, রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সম্পূর্ণভাবে ব্যবহার করেছে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এ নির্বাচনকে নজিরবিহীন সন্ত্রাস, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস এবং ভোট ডাকাতি বলা যেতে পারে। ডাকাতির ফলে নির্বাচনের ফলাফলকে পুরোপুরি প্রত্যাখান করেছি। আমরা মনে করি, কলঙ্কজনক এ নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন দিতে হবে এবং এটা অনতিবিলম্বে করতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।’

পুনর্নির্বাচন সম্ভব নয় জানিয়েছেন সিইসি-সেক্ষেত্রে আপনারা কি করবেন প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান সিইসি সবচেয়ে পক্ষপাত দুষ্ট একজন ব্যক্তি। আপনারা জানেন যে, প্রথম থেকে তার বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে আসছিলাম। তিনি একজন দলীয় ব্যক্তি, তার সমস্ত কার্য্কলাপ ইতিমধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। উনি যেভাবে কথা বলেন তাতে সরকার যে কথা বলতে চায় তিনি সম্পূর্ণভাবে সেটার প্রতিধ্বনি করেন। তিনি সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন।’

‘বিএনপি কিভাবে এগুবে তা ‘সময়মত’ জানানো হবে। আমরা সমস্ত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে সিদ্ধান্ত নেব। এ জন্য জোটের সঙ্গে আলাপ করে কর্মপন্থা ঠিক করা হবে।’

নির্বাচিতরা কী করবে?

যারা নির্বাচিত হয়েছে শপথ নেবেন কিনা প্রশ্ন করা হলে ফখরুল বলেন, ‘আমরা ফলাফল প্রত্যাখান করেছি। একই সঙ্গে দাবি আদায়ে ‘আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি আন্দোলন চলবে।’

তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমাদের কর্মসূচি থাকবে।’

নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে যে দলীয় সরকারের অধীনে কখনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এবার এ সরকার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগসাজস করে এমন একটা নির্বাচন করলো যা জাতির রাজনৈতিক ও নির্বাচনের ইতিহাসে সবচাইতে কলঙ্কময় ঘটনা বলে মনে করি।’

তিনি বলেন, ‘নতুন ভোটাররা এবার সবচেয়ে বেশি ডিপ্রাইভড হয়েছেন। তাদের অধিকার তারা প্রয়োগ করতে পারেননি। রাজধানীসহ প্রত্যেকটি কেন্দ্রতে ভোটার শূন্য ছিল।’

২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন সঠিক ছিল

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ নির্বাচন প্রমাণ করেছে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে না যাওয়ার যে সিদ্ধান্ত সেটা সঠিক ছিল। অর্থাৎ আমরা যেটা বলে আসছি যে দলীয় সরকারের অধীনে দেশের রাজনৈতিক যে সংস্কৃতি আছে সেই সংস্কৃতিতে এখানে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয়।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য সঠিক নয়

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সিইসির বক্তব্যের জবাবে বলেন, ‘উনি বলেছেন, এজেন্ট না আসলে আমি কি করব? আরে এজেন্ট না আসতে দিলে আমরা (বিএনপি) কী করবো। এজেন্টকে তো আপনারা আসতে দেননি।’

তিনি বলেন, ‘এ নির্বাচন আগে থেকে পূর্ব পরিকল্পনায় হয়েছে। আর ইঞ্জিনিয়ারিংটা করা হয়েছে ভোটের আগের রাতে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে। এ কারণে জনগণ যে ১০ বছর ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারছিল না সেটা থেকে তাদেরকে বঞ্চিত করা হলো।’

ভোট পরবর্তি সহিংসতার অভিযোগ
ভোটের পর বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীনরা সহিংসতা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে সহিংসতা হয়েছে, নির্বাচনের দিন হয়েছে। এখন ভোটের পরে পরেই শুরু হয়েছে সহিংসতা। বিএনপি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় প্রার্থীসহ নেতা-কর্মীদের সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আক্রমণ চালানো হচ্ছে। আমার নিজের নির্বাচনী এলাকা বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের দানারহাট কেন্দ্রে বিএনপি নেতা-কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি পুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে, ভেঙে ফেলা হচ্ছে। নির্বাচনের দিন ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ কেন্দ্রে আমার প্রধান এজেন্টের বাড়িতে আক্রমণ করে ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমার স্ত্রীকে ঘটনাস্থলে যেতে দেয়া হয়নি। আমি নিজে গিয়ে ওই কেন্দ্র দেখেছি ৪-৫টা বুথে কোনো এজেন্ট নেই। ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে যাতে কেউ না আসে।

সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মাহবুবুর রহমান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: জাগোনিউজ।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com