ত্বকের যত্নের বললেই প্রথম দিকেই নিম পাতার কথা মাথায় আসে। ত্বকের জন্য যেসব প্রোডাক্ট ব্যবহার করা হয় যেমন ফেসওয়াশ, ময়েশ্চারাইজার, লোশন সবকিছুতেই পুদিনা পাতা ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ ক্লিনজার, টোনার ও ময়েশ্চারাইজার হিসেবে পুদিনা পাতার জুড়ি মেলা ভার। পুদিনা পাতার কয়েকটি কার্যকরী ব্যবহারের কথা চলুন জেনে নেওয়া যাক।
১.পুদিনা পাতায় স্যালিসিলিক এসিড ও ভিটামিন এ থাকায় যা ত্বকের সেবাম উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে তৈলাক্ত ভাব ঠিক রাখে। যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদের ব্রণের সম্ভাবনা বেশি থাকে। পুদিনা পাতা ত্বক থেকে ব্রণ দূর করতে পারে। পুদিনা পাতা পেস্ট করে ত্বকে ব্রণের উপর দিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এতে একদিকে যেমন ব্রণের সমস্যা যাবে তেমনি স্কিনের ওপেন পোরসের সমস্যা দূর করে।
২.পুদিনা পাতায় যে প্রদাহ বিরোধী উপাদান রয়েছে যা কাটা,ঘা দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে। পুদিনা পাতা রস করে আক্রান্ত স্থানে লাগাতে হবে। এতে করে জ্বালা পোড়াভাব কমে খুব দ্রুত ওই জায়গা শুকিয়ে যাবে।
৩. পুদিনা পাতা টোনার হিসেবে ভালো কাজ করে। স্কিনের পোরস থেকে ময়লা দূর করে পুদিনা পাতা সেই সাথে স্কিনকে হাইড্রেট রাখে। শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে পুদিনা পাতা। সেই সাথে রিংকেলের সমস্যা দূর করে। পুদিনা পাতা নিয়ে প্যাক দিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৪. পুদিনা পাতায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় তা চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। চোখের নিচের কালো অংশে পুদিনা পাতার পেস্ট দিয়ে অপেক্ষা করুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৫.পুদিনা পাতায় যে অ্যান্টি সেপটিক উপাদান রয়েছে তা স্কিন থেকে র্যাশ ও দাগ দূর করে। সূর্যের আলোতে স্কিনের যে ক্ষতি হয় তা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে পুদিনা পাতা। পুদিনা পাতার নির্যাস ত্বকে ব্যবহার করুন। এমন করে একমাস ব্যবহার করলে দেখবেন আপনার ত্বকে লাবণ্য ফিরে এসেছে।
বাড়িতে একটি টবে পুদিনা পাতার চারা লাগাতে পারেন। আবার বাজার থেকে কিনে নিয়ে এসেও পুদিনা পাতা ব্যবহার করতে পারেন।
বাংলা৭১নিউজ/এবি