বাংলা৭১নিউজ, এ কে এম আব্দুল্লাহ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি: নেত্রকোনায় পুত্রবধুঁর দেয়া আগুনে মারাত্মক অগ্নিদগ্ধ শাশুড়ি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে গত বুধবার সন্ধ্যায় মারা গেছেন।
মারা যাওয়া ওই শাশুড়ি হলেন, নেত্রকোনা সদর উপজেলার চল্লিশা ইউনিয়নের সাকুয়া বাজার সংলগ্ন গন্ধবপুর গ্রামের পুলিশ কনস্টেবল মৃত রইছ উদ্দিনের স্ত্রী শাহানারা আক্তার (৫০)। আগুন ধরিয়ে দেয়া তারই পুত্র মাহবুব আলমের বধুঁর নাম হলো রোজিনা আক্তার (২৪)।
শাহানারা আক্তারের মেয়ে ফারজানা আক্তার লিজা জানান, গত ২৫ মে রাতে তাদের নিজ বাড়িতে পারিবারিক কলহে রোজিনা তার শাশুড়ির গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে দগ্ধ শাহানারাকে প্রথমে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে, পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর বুধবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার মায়ের মৃত্যু হয়।
নেত্রকোনা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বোরহান উদ্দিন খান পুত্রবধুর দেয়া আগুনে শ^াশুড়ির মৃত্যুর বিয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় পরদিন শাহানার মেয়ে লিজা বাদী হয়ে থানায় রোজিনা আক্তারের বিরুদ্ধে আগুনে পুড়িয়ে আহত করার মামলা দিয়েছেন। এখন এ মামলাটিই পুড়িয়ে মারার হত্যা মামলাতে রূপান্তরিত হবে। পুত্রবধূ রোজিনাকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস