বাংলা৭১নিউজ, পাবনা প্রতিনিধি: পাবনায় এবার চলতি রবি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে পোঁয়াজ আবাদ হয়েছে। জেলায় এ বছর পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৪ হাজার হেক্টর জমিতে। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার পেঁয়াজের আশাতীত ফলন হবে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।
পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলার সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয় সুজানগর উপজেলায়। এ বছর এ উপজেলায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। আর এ থেকে দুই লাখ ৮৪ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদন হবে।
সাঁথিয়ায় ১১ হাজার হেক্টরে এক লাখ ৫৪ হাজার টন, পাবনা সদরে পাঁচ হাজার হেক্টরে ৭০ হাজার টন, ঈশ্বরদীতে এক হাজার ৫০০ হেক্টরে ২১ হাজার টন, বেড়ায় দুই হাজার হেক্টরে ২৮ হাজার টন, ফরিদপুরে এক হাজার হেক্টরে সাড়ে ১৪ হাজার টন, চাটমোহরে এক হাজার ৫’শ হেক্টরে সাড়ে ২১ হাজার টন, ভাঙ্গুড়ায় এক হাজার হেক্টরে ১৪ হাজার টন এবং আটঘড়িয়ায় এক হাজার হেক্টর জমিতে ১৪ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদন উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
চলতি রবি মৌসুমে পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৪ হাজার হেক্টর জমিতে।
উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে চার লাখ ৭৬ হাজার টন। এবার কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের ধার্যকৃত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে অর্থাৎ ৪৪ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে।
সে হিসেবে ধার্যকৃত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এক লাখ ৪০ হাজার টন বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হবে।
গেল বছর শিলাবৃষ্টিতে পেঁয়াজের উৎপাদন কম ও বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি হয়েছে। দাম বেশি হওয়ায় কৃষকেরা তাই ঝুঁকেছে এবার পেঁয়াজ আবাদে।
এবার পেঁয়াজের দানা (বীজ) বিক্রি হয় বেশি দামে। গেল বছর প্রতি কেজি পেঁয়াজ এর দানা (বীজ) বিক্রি হয়েছিল এক হাজার ৫’শ টাকা দরে। এবার বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি চার হাজার থেকে চার হাজার ৫’ টাকা দরে। প্রতি হেক্টরে পেঁয়াজ উৎপাদন গড় হিসাব ধরা হয়েছে ১৪ টন।
পাবনার কৃষকরা পেঁয়াজ জমিতে চারা রোপণ ও পরিচর্যা শুরু করেছে। পেঁয়াজ জমিতে কৃষাণ-কৃষাণীরা ব্যস্ত সময় পার করছে।
পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভূতি ভূষণ সরকার জানান, এবার পেঁয়াজ বীজের দাম বেশি থাকলেও বীজের মানও ভালো ছিল।
সুজানগর উপজেলার মানিকহাট, উলাট, বামনদি, চরদুলাই, বনকোলা এলাকার কৃষকরা জানান, এবার পেঁয়াজ বীজে ভালো চারা হয়েছে। বিস্তীর্ণ গাজনা বিল এলাকা এবং সাঁথিয়ার ঘুঘুদহ বিল এলাকার গৌরিগ্রাম, বিষ্ণুপুর, ক্ষেতুপাড়া, চরপাড়া, রঘুরামপুর, মাছগ্রামের কৃষকেরা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জমিতে চারা রোপণ করছে।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস