বাংলা৭১নিউজ,পাবনা প্রতিনিধি: পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার আতাইকুলা থানার কৈজুরী গ্রামে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন, যিনি চরমপন্থী সংগঠনের নেতা বলে দাবি করেছে পুলিশ।
সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম কুরবান আলী। তিনি আটঘরিয়া উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের কিয়াম উদ্দিন ওরফে আদুর ছেলে। কুরবান আলী চরমপন্থী সংগঠন নকশাল গ্রুপের নেতা বলে পুলিশ দাবি করেছে।
আতাইকুলা থানার ওসি মাসুদ রানা জানান, আটঘরিয়া উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের কৈজুরী গ্রামের শশ্মানের পাশে একদল দুস্কৃতিকারী গোপন বৈঠক করছেন, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযানে যায় আতাইকুলা থানা পুলিশ।
গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের ওপর গুলিবর্ষণ করে চরমপন্থীরা। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। প্রায় ৩০ মিনিট পাল্টাপাল্টি গুলিবর্ষণের এক পর্যায়ে পিছু হটে চরমপন্থীরা।
পরে ঘটনাস্থল থেকে কুরবান আলী নামের একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
ওসি মাসুদ রানা আরও জানান, এ ঘটনায় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হলেন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মন্টু হোসেন, ফারুক হোসেন, কনস্টেবল আব্দুর রউফ ও শাহিন আলী।
ঘটনাস্থল থেকে একটি রিভলবার, চার রাউন্ড গুলি, দুটি কার্তুজের খোসা, ২০ পিস ইয়াবা, একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের দাবি, নিহত কুরবান চরমপন্থী নকশাল দলের আঞ্চলিক নেতা ছিলেন। তার বিরুদ্ধে আটঘরিয়া ও আতাইকুলা থানায় হত্যা, ডাকাতিসহ বেশকিছু মামলা রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/ আর এইচ