শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
অবশেষে কাজী নজরুলকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি একদিনে ইউক্রেনের ১২০০ সৈন্য-যুদ্ধবিমানসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির দাবি রাশিয়ার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শাহাদাত হোসেন খান হিলু মারা গেছেন বিজয়ের ব্যাটে রাজশাহীর প্রথম জয়, দ্বিতীয় হার ঢাকার বাদ মহিউদ্দিন চৌধুরী, শহীদ ওয়াসিমের নামে হলো চট্টগ্রামের উড়ালসড়ক উত্তেজনার পারদ ছড়ানো ম্যাচে মুখোমুখি রংপুর-বরিশাল প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে ইপিআর নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হবে শিক্ষকতাকে প্রথম শ্রেণির পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে : হাসনাত ১৪ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি তেল কিনবে সরকার বাংলা‌দেশি-ভারতীয় আটক জেলেদের হস্তান্তর ৫ জানুয়া‌রি হাসপাতালে পরিবারের সবাই, অভিনেত্রী অঞ্জনা সংকটাপন্ন এক সমন্বয়কের নেতৃত্বে প্রশাসন ভবনে তালা, অবরুদ্ধ শিক্ষক-কর্মচারী আহত রাতুলকে বিজিবির সহায়তা বিএফআইইউয়ের সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা রাঙ্গামাটিতে সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি, ইউপিডিএফ সদস্য নিহত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও মুজিব কিল্লা নির্মাণে দুর্নীতির অনুসন্ধান দুদকের জালে ডাকের সাবেক ডিজি সুধাংশু শেখর ভদ্র মধুমতীর পানি বাড়ায় ভাঙনের কবলে ‘স্বপ্ন নগর’ আশ্রয়ণ প্রকল্প যশোরের মাহফিলে আসুন, দেখা হবে, কথা হবে গর্ভবতী স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

পানি বাড়লে ঘর ডুবছে, কমলে ঘর ভাঙছে

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ২৪ জুলাই, ২০২০
  • ৭৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলাসহ অন্যান্য নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় টানা ২৫ দিন ধরে দুর্ভোগে রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষ। এরমধ্যে তিস্তা নদীতে পানি কমে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে প্রচণ্ড ভাঙন। ভাঙন আর বন্যায় চরম বিপর্যয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন এ অঞ্চলের মানুষ।

দীর্ঘ ২৫ দিন ধরে পানিবন্দি মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে খাদ্যাভাব। তিন বেলার জায়গায় অনেকে দু’বেলা খেয়ে দিন কাটাচ্ছেস। জনপ্রতিনিধিরাও ত্রাণ সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছেন। প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের লোকজন মানবেতর জীবনযাপন করছে। দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার সংকট, স্যানিটেশন ও বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজনীয়তা। এছাড়াও জরুরি ওষুধের প্রয়োজনও দেখা দিয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, মাঝখানে ২ থেকে ৩ দিন পানি কমে গেলেও গত এক সপ্তাহ ধরে কুড়িগ্রামে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি আবারও বাড়ছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৯২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারীতে ৬৯ ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

টানা বন্যায় জেলার ৯টি উপজেলার পাঁচ ভাগের তিনভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে ৬০ ইউনিয়নের প্রায় ৫ শতাধিক গ্রামের সাড়ে ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। এতে ৫০ হাজার বাড়িঘর বিনষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০ হাজার হেক্টর ফসলি জমি। বন্যায় ৫টি স্কুল ভেঙে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ১৩৯টি। এছাড়াও ৩৭ কিলোমিটার সড়কপথ ও ৩১ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভাঙনে গৃহহীন হয়েছে প্রায় দেড় হাজার পরিবার।

Kurigram-flood-3

জেলার চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হানিফা জানান, আমরা ত্রাণ সঠিকভাবে পাচ্ছি না, যেভাবে পাওয়া উচিৎ জনগণ সেভাবে পাচ্ছে না। এই মুহূর্তে শুকনো খাবার, স্যানিটেশন, পানি ও ওষুধের ভীষণ প্রয়োজন।

এদিকে বন্যার মধ্যেই তিস্তা নদীতে পানি কমে যাওয়ায় জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ও বিদ্যানন্দ এবং উলিপুর উপজেলার থেতরাই ও বজরা ইউনিয়নের কাসিমবাজারে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। তিস্তার পানির প্রবল স্রোতে রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের বুড়ির হাট এলাকায় ক্রস বারের মাটির ৫০ মিটার পানিতে ভেসে গেছে। ভাঙন দেখা দিয়েছে রাজারহাটের বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের রতিরাম এলাকার ক্রস বারেও। এতে করে ওই দুই ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রাম ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে। গত ৫ দিন ধরে জিও ব্যাগ ও বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

ভাঙন কবলিত এলাকার আব্দুল আজিজ (৬২) জানান, তিস্তার ভাঙনে ৬ বার বাড়ি ভেঙেছি। এবার আর জায়গা না থাকায় চর বিদ্যানন্দ থেকে পার্শ্ববর্তী গাবুর হেলানে জামাই নুর মোহাম্মদের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছি।

এই এলাকার হক্কানী মিয়া জানান, এখানে গত ৮ দিন ধরে ভাঙন চলছে। আজও ৫টি বাড়ি সরিয়েছে। যেভাবে ভাঙছে তাতে হুমকির মুখে রয়েছে গাবুর হেলান মসজিদ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাজাপাড়া বালিকা বিদ্যালয়, সোলাবাড়ি সারকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তৈয়ব খাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মহাসানিয়া দাখিল মাদরাসা, রাঘব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মসজিদ, মন্দির, ঈদগাহ মাঠ ও কবরস্থান। এগুলো সবই বিলীনের পথে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, প্রথম ও দ্বিতীয় দফা বন্যায় ৪৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করেছি। ২ লাখ টাকার শিশু খাদ্য ও ২ লাখ টাকার গো-খাদ্য দিয়েছি। এছাড়াও ৫ হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করেছি।

বাংলা৭১নিউজ/এমকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com