বাংলা৭১নিউজ,(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি: পানির পাম্প ঘোষণা দিয়ে আনা কসমেটিকস সামগ্রীর একটি চালান আটক করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমসের গোয়েন্দা বিভাগ এআইআর। চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার পর কন্টেইনার খুলে কায়িক পরীক্ষা করে ফাঁকির বিষয়টি নিশ্চিত হয় আজ। চালানটিতে মোট এক কোটি ৩০ লাখ টাকার শুল্কফাঁকির দিয়েছিল।
চালানটির আমদানিকারক ঢাকার অনলি ওয়ান ইন্টারন্যাশনাল, আর পণ্য খালাসের দায়িত্বে ছিল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট উজালা শিপিং লাইনস।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম কাস্টমসের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান ও উপ কমিশনার নুর উদ্দিন মিলন বলেন, গোপণ তথ্যের ভিত্তিতে চালানটি আটক করি। পরে কন্টেইনার খুলে প্রায় ৩৭ হাজার কেজি বিভিন্ন ধরনের কসমেটিকস পাওয়া যায়। এতে এক কোটি ৩০ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি হয়েছিল। আমরা আটকের পর সেটি ঠেকানো গেছে।
তিনি বলছেন, মূলত বিপুল শুল্কফাঁকি দিতে এই চালান এনেছে আমদানিকারক। এই প্রতিষ্ঠানের আগে তথ্যও আমরা যাচাই করে দেখছি।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, ঢাকার চম্পাটলি লেইনের আমদানিকারক অনলি ওয়ান ইন্টারন্যাশনাল চীন থেকে ২৩ হাজার কেজি পানির পাম্প আমদানির ঘোষণা দেয়। আমদানিকারকের নিয়োজিত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ছিল চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের উজালা শিপিং লাইনস। চালানটি খালাসের জন্য গত ৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম কাস্টমসে বিল অব এন্ট্রি জমা দেয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট। শুল্কও পরিশোধ করে। তার আগেই কাস্টমস গোয়েন্দা দলের হাতে ধরা পড়ে।
কন্টেইনার খুলে কায়িক পরীক্ষার পর চালানটিতে পানির পাম্প পাওয়া যায় মাত্র ২০২ কেজি; অথচ ঘোষণা দিয়েছিল ২৩ হাজার কেজি। তবে কন্টেইনার খোলার পর একে একে বেরিয়ে আসে বিভিন্ন ধরন ও ব্রান্ডের কসমেটিকস সামগ্রী। এদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, হেয়ার জেল, টুথপেস্ট, সাবান, শ্যাম্পু, ফেইস ওয়াশ, বডি ওয়াশ, টুথব্রাশ এবং প্লেয়িং কার্ড। এসব কসমেটিকস সামগ্রী কায়িক পরীক্ষার পর প্রায় ৩৭ হাজার কেজি পাওয়া যায়; যার কোনো ঘোষণা নেই।
মূলত উচ্চ শুল্কের এসব কসমেটিকস সামগ্রী আনতেই কম শুল্কের পানির পাম্প আমদানির ঘোষণা দিয়েছে ঢাকার আমদানিকারক। চট্টগ্রামের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টও এই অনিয়মের সাথে জড়িত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে কাস্টমস আইনে মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
বাংলা৭১নিউজ,/জেডএ