শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:০৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
এবারের বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি উসমান খানের ডাকসু নিয়ে আমরা অনেক আগ্রহী : ঢাবি উপাচার্য শীতার্তদের জন্য কম্বল কিনতে সরকারের বরাদ্দ ৩৪ কোটি টাকা আমাদের ঐক্যের যুদ্ধে ব্যর্থতা রয়েছে: মির্জা ফখরুল ভারতের চক্রান্তে প্রতিবেশী দেশে একের পর এক গুপ্তহত্যা তরুণ প্রজন্মের ত্যাগ বৃথা হতে দেওয়া যাবে না: নৌপরিবহন উপদেষ্টা সংবিধান সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়ল অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউনকে গ্রেপ্তার নিয়ে নাটকীয় পরিস্থিতি গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখতে কাজ চলছে: উপদেষ্টা বিদেশে বন্ধু চাই, প্রভু নয়: জামায়াত আমির রাজধানীতে ‘হট্টগোল শিশু উৎসব’ শুরু ৩ হাজার সন্ত্রাসীকে হত্যার দাবি তুরস্কের প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে শীতার্তদের জন্য ৭ লাখ কম্বল সরকারি দপ্তরে তদবির বন্ধে সচিবদের কাছে তথ্য উপদেষ্টার চিঠি মসজিদুল আকসার ইমাম ১০ দিনের সফরে বাংলাদেশে চিটাগংকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল রাজশাহী বাংলাদেশে আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা নাঈমুল ইসলাম ও তার পরিবারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ১৬৩টি, জমা ৩৮৬ কোটি ঘন কুয়াশায় এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ঝরল ৪ প্রাণ, আহত ২১

পানির নিচে সোনালী ধান, কৃষকের আর্তনাদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২২
  • ৪৯ বার পড়া হয়েছে

ভারতের পাহাড়ি ঢলে মেঘনার পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নাসিরনগর উপজেলার হাওড়পারের কৃষকরা।

হাওরাঞ্চরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মেদির হাওর, আকাশি বিল, আটাওরি বিল, বিল বালিঙ্গা, কচরা বিল, ধইল্যা বিল ও খাসারচরের চারদিকে পানি থৈ থৈ করছে। এসব বিলের পানির নিচে তলিয়ে গেছে কৃষকের সোনালী ফসল। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উপজেলার গোয়ালনগর, ভলাকূট ও সদর ইউনিয়নে।

এছাড়া বুড়িশ্বর, কুণ্ডা, গোকর্ণ ও হরিপুর ইউনিয়নও রয়েছে অধিক ঝুঁকিতে। ওই এলাকার কৃষকের দাবি- গত এক সপ্তাহে প্রায় ৫০০ হেক্টর জমি তলিয়ে গেছে। ফলে কোথাও হাঁটু পানিতে আবার কোথাও কোমর পানিতে নেমে ডুবে থাকা আধপাকা ধান কাটছেন কৃষকরা। এর মধ্যে অনেক জায়গায় পানির নিচে তলিয়ে থাকা ধানে ধরেছে পচন।

গোয়ালনগর ইউনিয়নের কৃষক মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, আমার চার হেক্টর জমির অধিকাংশ পানির নিচে ডুবে গেছে। যতটুকু সম্ভব বুক পানিতে নেমেও কাটার চেষ্টা করছি।

পানি বাড়তে থাকলে ঐটুকুও কাটতে পারবো বলে মনে হয় না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাইদ তারেক জানান, উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে এ পর্যন্ত ৭০ হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে। দুই দিনে মেঘনায় প্রায় ৭০ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। তাই কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে পানি আরও বাড়তে পারে, দ্রুত ফসল কেটে ঘরে নিতে।

তিনি আরও জানান, নাসিরনগরে বিভিন্ন হাওড়ে এ বছর প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহে শিলাবৃষ্টি ও মেঘনায় পানি বৃদ্ধির কারণে প্রায় ১০০ হেক্টর ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত আড়াই হাজার কৃষকের নামের তালিকা করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ২৫ কেজি করে এককালীন চাল সহায়তা পাবেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদি হাসান খান শাওন বলেন, যে সব কৃষকের ধান ৮০ শতাংশ পেকেছে তা দ্রুত কেটে নিতে হবে। দ্রুত ধান কাটার জন্য আমরা সব রকমের চেষ্টা করে যাচ্ছি। এমনকি মসজিদের মাইকেও ঘোষণা করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধান কাটার ব্যাপারে যে কোনো ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com