বাংলা৭১নিউজ,(খাগড়াছড়ি)প্রতিনিধি: সংযোগ সড়ক নেই। চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। সম্প্রতি পানছড়ি সদরের তালুকদারপাড়ায়। খাগড়াছড়ির পানছড়ি সদরের গোলক কটিমা ছড়ার ওপর পাকা সেতু আছে। কিন্তু সেতুতে ওঠার জন্য নেই কোনো সংযোগ সড়ক। সেতুর দুই পাশে মাটি ভরাট না করায় সড়ক দিয়েই হেঁটেই চলাচল করতে হয় গ্রামবাসীকে। এ জন্য চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে আশপাশের তিনটি গ্রামের বাসিন্দা।
পানছড়ি উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার তালুকদারপাড়া- বৌদ্ধমন্দির সড়কে গোলক কটিমা ছড়ার ওপর ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণের পর সেতুর দুই পাশে মাটি ভরাট করা হয়নি। নির্মিত হয়নি সংযোগ সড়কও। সড়কটিতে একসময় কাঠের সেতু ছিল। তখন ছোট যানবাহনও চলাচল করত তালুকদারপাড়া সড়ক দিয়ে। এখন ওই সড়কে কোনো যানবাহন চলে না।
স্থানীয় লোকজন বলেন, জতিশ মেম্বারপাড়া, ব্রিকফিল্ডপাড়া ও চৌধুরীপাড়ার বাসিন্দারা তালুকদারপাড়ার–বৌদ্ধমন্দির সড়ক দিয়ে পানছড়ি সদর হয়ে খাগড়াছড়ি যাতায়াত করত একসময়। তখন গোলক কটিমা ছড়ার ওপর কাঠের সেতু ছিল। এই তিন গ্রামের বাসিন্দা কাঠের সেতু পার হয়ে আগে কম সময়ে যানবাহনে করে পানছড়ি বাজারে আসত। পাকা সেতু হওয়ায় এখন তাদের হেঁটে বাজারে আসতে হয়।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, গোলক কটিমা ছড়ার ওপর সেতুতে উঠতে বেগ পেতে হচ্ছে পথচারীদের। পারাপারের সময় নারী ও বয়স্ক লোকজন ভোগান্তিতে পড়ছিলেন।ব্রিকফিল্ডপাড়ার বাসিন্দা মো. মনোয়ার হোসেন (৫৭) বলেন, ‘একসময় রাত দশটা বাজলেও বাজার থেকে পাহাড়ি ছড়া পার হয়ে বাড়ি আসতে পারতাম। তখন কাঠের সেতু ছিল। আর এখন পাকা সেতু হওয়ার পর ওই রাস্তায় হেঁটে বাড়ি ফিরতে হয়। সন্ধ্যা নামলেই সড়ক দিয়ে লোক চলাচল কমে যায়।’
জতিশ মেম্বারপাড়ার চন্দনা চাকমা বলেন, এই এলাকার বেশির ভাগ মানুষ কৃষক। যোগাযোগব্যবস্থা ভালো না থাকায় এলাকার মানুষদের কৃষিপণ্য বাজারে নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়তে হয়। অনেকে দুই কিলোমিটার ঘুরে কৃষিপণ্য বাজারে নিয়ে যান। তা ছাড়া সেতু ওপর বখাটেরা আড্ডা দেয়। এ কারণে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতে অসুবিধা হয়।
পানছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাজির হোসেন বলেন, তালুকদারপাড়া থেকে সেতু পর্যন্ত এক কিলোমিটার এলাকা পিচঢালাই করার জন্য একটি প্রকল্প এলজিইডিতে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পের অনুমোদন পাওয়া গেলে কাজ শুরু হবে। এই এক কিলোমিটারের কাজ শেষ হলে সেতুর অন্য পাশের সড়কের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হবে।
এ বিষয়ে পানছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী অরুণ কুমার দাশ বলেন, ‘আমি পানছড়িতে যোগদান করার আগে অপরিকল্পিতভাবে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। সড়কবিহীন হওয়ায় এটি কোনো কাজে আসছে না। ভবিষ্যতে এটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এবি