আসছে শীতের মৌসুম বাড়বে অতিথি পাখির আনাগোনা। তবে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের আমবাগানে শীতের মৌসুমের আগেই আম গাছে শামুকখোল পাখি বাসা বেঁধেছে। বাচ্চা ফুটিয়েছে শামুকখোল পাখি। কিন্তু আমবাগান মালিক গাছগুলো পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন। তখন এলাকার বাসিন্দারা বাগান মালিকদের অনুরোধ করেন, যেন পাখির বাসাগুলো না ভাঙে। আমবাগানের ক্ষতিপূরণ বাবদ সরকার ৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা দিচ্ছেন।
আজ শনিবার (২১ নভেম্বর) বাঘা উপজেলার খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের আমবাগান পরিদর্শন করেন ঢাকার বন সংরক্ষক মিহির কুমার, রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) জিল্লুর রহমান, রাজশাহী সামাজিক বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মেহেদীজ্জামান প্রমুখ। তারা আমবাগানের মালিক ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
পহেলা নভেম্বর পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে বন অধিদপ্তরকে আমচাষিদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে এই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যেসব আম মালিক অর্থ বরাদ্দ পাবেন তারা হলেন- মঞ্জুর রহমান, সানার উদ্দিন, সাহাদত হোসেন, শফিকুল ইসলাম ও ফারুক আনোয়ার। অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে আমবাগানের মালিকদের এই টাকা দেওয়া হবে।কয়েক বছর ধরে বর্ষাকালের শেষে শামুকখোল পাখিরা বাচ্চা ফোটানোর আগে খোর্দ্দ বাউসার এই আমবাগানে বাসা বাঁধে।
গত বছর অক্টোবরের শেষে পাখিরা বাচ্চা ফুটিয়েছিল, কিন্তু বাচ্চা উড়তে শেখেনি, এ অবস্থায় আমবাগানের মালিক পরিচর্যা করতে চান। তিনি বাসা ভেঙে আমগাছ খালি করতে চান। একটি গাছের কিছু বাসা ভেঙেও দেন। স্থানীয় পাখিপ্রেমী কিছু মানুষ তাঁকে বাসা না ভাঙার জন্য অনুরোধ করেন। অন্তত যত দিন বাচ্চারা উড়তে না শেখে। তাদের অনুরোধে তিনি পাখিদের বাসা ছাড়ার জন্য ১৫ দিন সময় বেঁধে দেন। ১৫ দিনের মধ্যে বাসা না ছাড়লে পাখিদের বাসা ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেন।
বাংলা৭১নিউজ/এএম