পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের ভোট গণনায় অপ্রত্যাশিত বিলম্বের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও এখনো প্রকাশ করা হয়নি ফলাফল। ভোট গণনায় এত দেরি হওয়ায় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।
পাকিস্তানের জনগণের ভোট চুরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে পিটিআই।
রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কয়েক মাস বিলম্ব শেষে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে পাকিস্তানের বহুল প্রত্যাশিত সাধারণ নির্বাচন। গতকালই ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ইমরান খান ও তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ছাড়াই এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়েছেন দলটির নেতারা। তাই এবারের ভোটের ফলাফল নিয়ে অন্যবারের তুলনায় সবার আগ্রহ একটু বেশিই।
পাকিস্তানের ভাগ্যে কী ঘটতে যাচ্ছে তা জানতে উৎসুক বিশ্ববাসীও।
তবে ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় পার হয়ে গেলেও এখনো শেষ হয়নি গণনা। শুক্রবার পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন বলেছিল, তারা ‘তাৎক্ষণিক ফলাফল ঘোষণা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছেন।’
তবে ভোট গণনা ঠিক কখন শেষ হবে সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো আপডেট জানানো হয়নি। নির্বাচনের আগে একটি ঘোষণায় তারা বলেছিল- ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের রাত ২টার মধ্যে কমিশনে ফলাফল পাঠাতে হবে।
তবে ভোটের ফলাফল গণনায় এত দেরি হওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন অনেকে। ইতোমধ্যেই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছে ইমরানের দল। দলটির মতে, ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়া ভোট কারচুপির লক্ষণ। নির্বাচনের আগে ইমরান ও তার দলকে অযোগ্য ঘোষণা করেছিলেন আদালত। তাই এবারের নির্বাচনে পিটিআইকে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী দিতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ‘প্রাথমিক ফলাফল খুবই উৎসাহজনক’ বলে জানিয়েছিলেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। ফলাফল প্রকাশে এত বিলম্ব হওয়াতে চটেছেন তিনিও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ফলাফল অবিশ্বাস্যভাবে ধীরগতিতে আসছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের নির্বাচনের সময় দেশটিতে মোবাইল ফোন পরিষেবা স্থগিত করা এবং সহিংস অস্থিরতার কারণে ভোট গণনায় দেরি হচ্ছে।
বিবিসি বলছে, দেশটির টিভি চ্যানেলের অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে ইমরানের মিত্ররা এগিয়ে থাকার ইঙ্গিতই দিচ্ছেন।
এবারের নির্বাচনে দেশটিতে নিবন্ধিত ভোটার সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৮০ লাখ। তাদের প্রায় অর্ধেকই ৩৫ বছরের কম বয়সি। জাতীয় পরিষদের ৩৩৬ আসনের মধ্যে ২৬৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ৫ হাজারেরও বেশি প্রার্থী। তাদের মধ্যে নারীদের সংখ্যা মাত্র ৩১৩ জন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ