পাকিস্তানের আসন্ন নির্বাচনে দুটি আসনে পাাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোর এবং নিজ শহর মিয়ানওয়ালি থেকে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন দেশটির সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) তার মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রাদেশিক নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা।
জিও নিউজ জানিয়েছে, পাকিস্তানে ২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এতে লড়ার জন্য লাহোরের এনএ-১১২ এবং মিয়ানওয়ালির এনএ-৮৯ নির্বাচনী আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ইমরান খান। কিন্তু দুটি মনোনয়নপত্রই বাতিল করা হয়েছে।
এমনিতেই মামলা-মোকদ্দমায় জেরবার পিটিআই। দলের সাবেক চেয়ারম্যান ইমরান খান, ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কোরেশিসহ বেশিরভাগ জ্যেষ্ঠ নেতা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। এ অবস্থায় দলীয় প্রধানের মনোনয়নপত্র বাতিল পিটিআই’র জন্য অনেক বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।
কেন বাতিল হলো মনোনয়নপত্র?
এনএ-১২২ আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে নিযুক্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেছেন, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এ কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে, ইমরানের মনোনয়নপত্র বাতিলের আবেদন জানান পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) নেতা মিয়া নাসির। তোশাখানা মামলায় পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় পাঁচ বছর নির্বাচনে অযোগ্য বিবেচিত হওয়ার রায়ের কথা উল্লেখ করে আপত্তি জানিয়েছিলেন তিনি।
একই কারণে মিয়ানওয়ালির এনএ-৮৯ আসনেও ইমরান খানের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ। এই আসনটি ইমরান খানের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। মিয়ানওয়ালি থেকে লড়েই আগের নির্বাচনগুলোতে জিতেছিলেন তিনি।
এদিন শুধু ইমরান খানেরই নয়, শাহ মাহমুদ কোরেশির মনোনয়নপত্রও বাতিল করা হয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে মুলতানের এনএ-১৫০, পিপি-২১৮ এবং থারপারকারের এনএ-২১৪ আসন থেকে লড়তে চেয়েছিলেন পিটিআই ভাইস চেয়ারম্যান। কিন্তু তিনটি আসনেই মনোয়নপত্র বাতিল হয়েছে তার।
এছাড়া, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং পিটিআই নেতা হাম্মাদ আজহারের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে পিপি-১৭২ আসন থেকে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ