বাংলা৭১নিউজ,(পাবনা)প্রতিনিধি: সহপাঠীদের রডের আঘাতে গুরুতর আহত পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আরাফাত মল্লিককে (১২) উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কাজে নিয়োজিত ঈশ্বরদী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অসিত কুমার বসাক আজ (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে জানান, আরাফাতের মাথায় আঘাত গুরুতর।
এদিকে এ ঘটনায় জড়িত তিন কিশোরকে গ্রেফতার করেছে ঈশ্বরদী থানার পুলিশ। পাওনা টাকার জের ধরে এই হত্যাচেষ্টা করা হয় বলে স্বীকার করেছে তারা। পুলিশের জেরায় একজন স্বীকার করেছে সে টিভিতে ‘ক্রাইম পেট্রল’ সিরিয়াল দেখে এ পরিকল্পনা করেছে।
এসআই অসীত কুমার বসাক আরও জানান, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তিনজনই স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তাদের একজনের কাছে স্কেটিংয়ের জুতা বিক্রির আড়াই হাজার টাকা পেত আরাফাত। সেই টাকাকে কেন্দ্র করে আরাফাতের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল সে। চিন্তা করে আরাফাতকে মেরে ফেললে আর টাকা দিতে হবে না।
এরপর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আরাফাতকে হত্যার উদ্দেশে তারা তিনজন আখ খাওয়ার কথা বলে ১৫ ডিসেম্বর দুপুর ১টার সময় ঈশ্বরদীর চরগড়গড়ি গ্রামের হবি মালিথার ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে তারা একসঙ্গে আখ খায়। একপর্যায়ে আরাফাতকে হত্যার উদ্দেশে মাথায় এবং বাম কানে পরপর কয়েকটি আঘাত করে একজন। পরে তারা আরাফাতকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়।
আরাফাত ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের গড়গড়ি গ্রামের আকমল মল্লিকের ছেলে এবং স্থানীয় সানফ্লাওয়ার কিন্ডার গার্টেনে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়তো।
অপরদিকে গ্রেফতার তিন কিশোর অপরাধী বাড়িও একই এলাকায়। তারা হলো- চরগড়গড়ি মুচির বটতলা এলাকার রবি মোল্লার ছেলে (১৪), আব্দুল কাদের মালের ছেলে (১২) ও শাহ আলমের ছেলে (১৩)।
এদিকে আহত আরাফাতের চাচা আবু তাহের মল্লিক বাদী হয়ে গ্রেফতার তিন কিশোরের বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেছেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। গ্রেফতার তিন কিশোর অপরাধীকে আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এইচএস