সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
প্রধান উপদেষ্টা নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট, ওএসডি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাব তলব ভারতে পালানোর সময় সাবেক ভূমিমন্ত্রী আটক শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী গ্রেফতার টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে ভারত সরকারের প্রতি জি এম কাদেরের ত্রাণ সহায়তার আহ্বান ডেঙ্গুতে আরো ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১২২৫ বাজার মনিটরিংয়ে টাস্কফোর্স গঠন হচ্ছে : আসিফ ভারত থেকে এলো ২ লাখ ৩১ হাজার ডিম, পিস ৭.৫ টাকা কোনো নিরাপত্তাঝুঁকি নেই, নির্বিঘ্নে পূজা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সুদ মওকুফ করে ঋণ রিশিডিউল করার দাবি চামড়া ব্যবসায়ীদের ১০০০ আইটি ইঞ্জিনিয়ারকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় জাইকা বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসটিডি দুই জাহাজে অগ্নিকাণ্ড: নৌ-মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি গঠন অভ্যুত্থানে ১০৫ শিশু নিহত, প্রত্যেক পরিবার পাচ্ছে ৫০ হাজার টাকা ক্রিকেটার ছদ্মবেশে শ্রমিক নেওয়ার অভিযোগে ২১ বাংলাদেশি আটক ইসরায়েলি হামলা হলে জবাব দিতে পরিকল্পনা প্রস্তুত ইরানের সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব আমিনুল গ্রেপ্তার অনুমাননির্ভর কোনো কথা বলতে চাই না: সাখাওয়াত হোসেন

পাউবো প্রধান প্রকৌশলী মিজানের দূর্নীতি: তদন্তে নেমেছে দুদক

সাখাওয়াত হোসেন বাদশা
  • আপলোড সময় বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০২২
  • ২০৭ বার পড়া হয়েছে

সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি)- এ পদোন্নতি পাওয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর প্রধান প্রকৌশলী মিজানুর রহমান এর বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ব ব্যাংকের ১০টি প্রকল্পে তার অনিয়ম ও দূর্নীতির তদন্তে নেমেছে দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব প্রকল্পে কেনাকাটার মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।

বিশ্ব ব্যাংকের বিভিন্ন প্রকল্পে পাউবো কর্মকর্তাদের অনিয়ম ও দূর্নীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। পাউবো’র বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থ সহায়তা দেয় বিশ্ব ব্যাংক ব্যাংক। বিশ্ব ব্যাংকের বিভিন্ন প্রকল্পে কতিপয় কর্মকর্তার অনিয়ম ও দূর্নীতির বিষয়টি একাধিক চিঠিতে পাউবো মহাপরিচালককে জানানোও হয়েছে। বেশ কয়েকটি অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। সর্বশেষ বিশ্ব ব্যাংকের ১০টি প্রকল্পে প্রধান প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের অনিয়ম ও দূর্নীতির বিষয়ে তদন্তে নেমেছে দুদক।

দুদকে দেওয়া অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৬ সালে ‘ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’- এ কর্মরত থাকাকালীন বিশ্ব ব্যাংকের ১০টি প্রকল্পে কেনাকাটায় অনিয়ম ও দূর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী মিজানুর রহমান। তার বিরুদ্ধে আনীত এই অভিযোগের উপর অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য একজন তদন্ত কর্মকর্তাও নিয়োগ করেছে দুদক।

গত ৩০ জুন দুদক থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মহাপরিচালককে চিঠির মাধ্যমে প্রধান প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের অনিয়ম ও দূর্নীতির বিষয়টি অবহিত করা হয়। একইসাথে যে ১০টি প্রকল্পে কেনাকাটায় দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে- সেসব প্রকল্পের তথ্যাদিও চাওয়া হয়েছে। আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে এসব তথ্য সংশ্লিষ্ট দুদক কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।

বিশ্ব ব্যাংকের যে ১০টি প্রকল্পে অনিয়ম ও দূর্নীতি অভিযোগ উঠেছে দুদক ওইসব প্রকল্পের নাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কাল, বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমান, প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যম, ঠিকাদার/প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির নাম-ঠিকানা, তদারককারী কর্মকর্তার নাম, প্রকল্পের কাজ শুরুর ও সমাপ্তির তারিখ এবং ঠিকাদারকে প্রদানকৃত মোট বিলের পরিমান জানতে চাওয়া হয়েছে।

চলতি মাসের ৭ জুলাই পাউবো মহাপরিচালকের দপ্তর দুদকের দেওয়া এই চিঠি গ্রহণ করেন। এরপর বিষয়টি প্রধান প্রকৌশলী মিজানুর রহমানকে জানানো হয়। তিনি (মিজানুর রহমান) গত ১৮ জুলাই দুদকের দেওয়া চিঠির জবাব দেন। জানা যায়, ‘ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’ নাম পরিবর্তন হয়ে ‘ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এন্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট (সিএসএডব্লিউএম)’ হয়েছে। বর্তমানে মিজানুর রহমান এই প্রকল্পে প্রধান প্রকৌশলী পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

এ ব্যপারে জানতে চাইলে, মিজানুর রহমান বলেন, আমি কোন ধরণের অনিয়ম ও দূর্নীতির সাথে জড়িত নই। বিষয়টি তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে। তার মতে, একটি মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে তার এডিজি হওয়া পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উল্লেখ্য, সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) সভায় ৩ জনকে পদোন্নতি দেওয়ার জন্য জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ৬ জনের নাম পাঠানো হয়। পদোন্নতির জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় থেকে যে ৬ জনের নাম পাঠানো হয় তারা হচ্ছেন- ড. জিয়া উদ্দীন বেগ, প্রধান প্রকৌশলী (পুর), বর্তমানে অতিরিক্ত মহাপরিচালকের চলতি দায়িত্বে (পরিকল্পনা)। জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ, প্রধান প্রকৌশলী (পুর), বর্তমানে অতিরিক্ত মহাপরিচালকের চলতি দায়িত্বে (পূর্ব), মো: মাহবুবুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী (পুর), বর্তমানে অতিরিক্ত মহাপরিচলকের চলতি দায়িত্বে (পশ্চিম)। মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী (পুর)। মো: নুরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী (পুর)। মো: রমজান আলী প্রামানিক, প্রধান প্রকৌশলী (পুর)।

এই ৬ জনের মধ্যে থেকে বিভিন্ন অভিযোগের কারণে এসএসবি’র বৈঠকে অতিরিক্ত মহাপরিচালকের চলতি দায়িত্বে থাকা জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ এর পদোন্নতি আটকে যায়। তার পদোন্নতি আটকে যাওয়ায় জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রধান প্রকৌশলী মিজানুর রহমান পদোন্নতি পান। পদোন্নতি পওয়া অপর দু’জন হচ্ছেন- ড. জিয়া উদ্দীন বেগ ও মো: মাহবুবুর রহমান।

অপরদিকে, পদোন্নতি পেয়েও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নের অভিযোগ উঠেছে অতিরিক্ত মহাপরিচালকের চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত (পরিকল্পনা) ড. জিয়া উদ্দীন বেগ এর বিরুদ্ধে। এ কারণে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় তার যোগ্যতা ও দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এরকম উচ্চপদোস্থ একজন কর্মকর্তা সরকারের নিয়মনীতি না মেনে উল্টো সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পদ্মা সেতু নিয়ে বিরূপ মন্তব্য কওে ফেইস বুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তার এই স্ট্যাটাস নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবয় পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় জুড়ে তোলপাড় উঠে।

জানা যায়, ড. জিয়া উদ্দীন বেগ এর এহেন স্ট্যাটাসের কারণে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার এতটাই ক্ষুদ্ধ ছিলেন যে, তাকে তাৎক্ষণিকভাবে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরবর্তিতে পাউবো মহাপরিচালক প্রকৌশলী ফজলুর রশিদ তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com