বিয়ের প্রলোভনে সুন্দরী বিধবা নারীর সর্বস্ব লুটে নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ ঊঠেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে। তিনি বর্তমানে কুষ্টিয়ায় কর্মরত রয়েছেন। জানা যায়, বিষয়টি পাউবো মহাপরিচালকের কার্যালয় পর্যন্ত গড়িয়েছে। এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটিও হয়েছে। কিন্ত অদ্যাবধি পর্যন্ত কমিটি কোন রিপোর্ট প্রদান করেনি। উল্টো কানাঘুষা চলছে, অর্থের বিনিময়ে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
জানা যায়, পাবনা জেলার শিবরামপুরে প্রগতি মহিলা উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক তানজিলা বেগম এ ব্যপারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করেন। তিনি তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, আবদুল হামিদ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০২১ সাল থেকে তার সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। এ সময় আবদুল হামিদ তানজিলা বেগমকে নিয়ে বিভিন্ন পার্ক, বাসা, রিসোর্ট, বন্ধু-বান্ধবের বাসায় সময় কাটায়।
অভিযোগকারী তানজিলা আরও বলেন, এক পর্যায়ে আবদুল হামিদকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি সুকৌশলে এড়িয়ে যেতে থাকেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, আবদুল হামিদ তার পদের ক্ষমতাবলে বিভিন্ন নারীকে তার অফিসে নিয়োগ দেন। বাবুর্চি নাজমার সাথেও তার অবৈধ সম্পর্কের স্বীকারোক্তিমূলক কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড তার কাছে রয়েছে। অভিযোগকারি আরও বলেন, আবদুল হামিদ যেসব অসহায় নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়েছেন তার একটি তালিকাও আবেদনের সাথে জমা দিয়েছি। অভিযোগকারী বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতার কারণে এই লম্পট কর্মকর্তার (আবদুল হামিদ) বিরুদ্ধে আমি এমন অবস্থান নিয়েছি। যাতে করে, আর কোন নারীকে তিনি ফাঁদে ফেলতে না পারেন।
অভিযোগকারী বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে দাবি জানায়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বিষয়টি তদন্তপূর্বক কমিশনের কাছে প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য পাউবো মহাপরিচালকের কাছে অনুরোধ জানায়।
গত ৮ মে প্রতিবেদনের জন্য দিন ধার্য থাকলেও এ ব্যপারে পাউবো থেকে কোন প্রতিবেদন মানবাধিকার কমিশনে পাঠানো হয়নি। আগামী ৩ জুলাই পাউবো’র প্রতিবেদনের জন্য পরবর্তি দিন ধার্য করা হয়েছে।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবদুল হামিদ বলেন, তানজিলা বেগম আমাকে ব্লাকমেইল করছে। তিনি বিভিন্ন জায়গায় আমার নামে অভিযোগ দিয়ে বেড়াচ্ছে। আপনার সাথে তার কথোপকথনের অডিও, ম্যাসেজ, ছবি ইত্যাদি কিভাবে এলো-জানতে চাইলে তিনি এর জবাব না দিয়ে লাইন কেটে দেন।
এ ব্যপারে তানজিলা বেগম জানান, আবদুল হামিদ পাউবো-কে বিক্রি করে বিভিন্ন্ নারীর সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছে। তার ভাষায়, আবদুল হামিদ একজন লেবাশধারী ভন্ড। অনেক নারীর সর্বনাশ তিনি করেছেন। তিনি বলেন, আমি লোকলজ্জা বাদ দিয়ে এই কারণে অভিযোগ দায়ের করেছি যে, এরকম প্রতারকের বিচার হওয়া উচিত। অন্যথায় তার কাছে আরও অসংখ্য নারী লাঞ্চনার শিকার হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ