বাংলা৭১নিউজ, মুহাম্মদ আবু মুসা, জয়পুরহাট প্রতিনিধি: ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডাজনিত কারনে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার পানচাষীরা পানের গোড়াপচা রোগ, পানপাতায় কালো কালো দাগ হয়ে ঝড়ে পড়া নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কোন কীটনাশক প্রয়োগ করেও ঠেকানো যাচ্ছে না পানের এই মহামারী রোগ। উপজেলার প্রত্যেকটি পানের বরজে এই রোগ দেখা দেওয়ায় অনেকে পানের বরজ ভেঙ্গে অন্য ফসল চাষাবাদ করছেন। এতে বিশাল অংকের আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পানচাষীরা।
পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলা এবার ২৯ হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়েছে। উপজেলার সালুয়া গ্রামের পানচাষী রবিন্দ্র চন্দ্র বলেন, প্রতিবিঘা পানের বরজ প্রস্তুত করতে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়। বর্তমান বাজারে প্রতি পোয়া পান (১৬ বিরা) ২ হাজার ৫শ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে। রোগ বালাই দেখা না দিলে এবার প্রায় দেড় লক্ষ টাকা বিক্রি করতেন বলে জানান। একই গ্রামের প্রবীন পানচাষী কৃষ্টপদ (হাগরু) বলেন, ৩০ বছর থেকে পান চাষ করছি এমন ক্ষতির সস্মুখিন হয়নি। চলতি মৌসুমে পর পর দু দফা বন্যা আর ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডার কারনে পানের বরজের অবস্থা খারাপ হয়েছে। বরজে আশানুরুপ পান ভাঙ্গতে না পারায় তিনি ৫০ শতক জমির পানের পানের বরজ ভেঙ্গে ফেলেছেন। একই কথা বলেন সালুয়া গ্রামের, সুশিল চন্দ্র নিতাই চন্দ্র, আঃ সামাদ, পুনিল চন্দ্র, মিঠু ও মন্টু চন্দ্র। তারা প্রত্যেকেই পানের বরজ ভেঙ্গে ফেলেছেন জানান। ধরঞ্জী গ্রামের পানচাষী আতাউর রহমান বলেন, পানের পাতায় কালো কালো দাগ ও পঁচন থাকায় বাজারে পান নিচ্ছে না পাইকাররা।
এবিষয়ে পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মাহাবুবার রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রচন্ড ঠান্ডা বাতাস ও শীত জনিত কারনে পানের এই অবস্থা। পানের বরজের বেড়া গুলো ভালভাবে বেধে দিতে হবে যাতে বাতাস প্রবেশ করতে না পারে। পাশাপাশি ডাইকেল-৫০ নামক ঔষধ স্প্রে করলে পানের এ অবস্থা কেটে উঠতে পারে।
জাতীয়করণের দাবীতে জেলা শিক্ষক-কর্মচারী সমাবেশ
শনিবার বেলা ১১টায় শহরের শহীদ ডাঃ আবুল কাশেম ময়দানে জেলা বে-সরকারি শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির আয়োজনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ চলাকালে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ সামছুল হক, আফজাল হোসেন, ইয়াছিন আলী মন্ডল, ওয়াজেদ পারভেজ, বিদ্যুৎ বিশ্বাস, আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমূখ।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস