জয়পুরহাটের পাঁচবিবি পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরদের দায়িত্ব পালনের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার চার বছর পেরিয়ে গেলেও পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। পৌর মেয়রের দাবি, সীমানা-সংক্রান্ত মামলা থাকায় নির্বাচন হচ্ছে না। তবে কোন মামলায় নির্বাচন আটকে আছে, তা সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান হাবিব ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম।
অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন ক্ষমতা ধরে রাখতেই উচ্চপর্যায়ের প্রভাব বিস্তার করে ভিত্তিহীন অভিযোগে আদালতে মামলা ঠুকে দিয়ে নির্বাচন কমিশনে আইনি নোটিশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে মেয়র পদে জয়লাভ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব। এরপর থেকেই শুরু হয় সঠিক সময়ে পৌর নির্বাচন যাতে না হয় সেই প্রক্রিয়া। শুরু হয় সীমানা নিয়ে একের পর এক মামলা। ফলে আটকে যায় নির্বাচন। এদিকে নির্বাচন আটকে থাকলেও থেমে নেই মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। তারা ডিজিটাল ব্যানার-ফেস্টুন, ছোট বড় লিফলেট, পোস্টার ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন কৌশলে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে নিজেদের জানান দিচ্ছেন।
পাঁচবিবি পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাছুদা বেগম ঝর্ণা। ১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মনোনীত আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এমপি নির্বাচিত ডা. সাইদুর রহমানের মেয়ে ঝর্ণা ইতোমধ্যেই মাঠ গোছাতে শুরু করেছেন। তিনি একজন নারী নেত্রী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে মানুষের বিপদে-আপদে কাজ করে চলেছেন। সর্বশেষ স্থানীয় শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা, সুশিল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সমাজকর্মীদের নিয়ে এক মতবিনিময়ের মাধ্যমে নিজেকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন।
তিনি জানান, বাবার মৃত্যুর পরে আমাদের পরিবারে অনেক নির্যাতন নেমে আসে, কিন্তু এরপরও আমরা আওয়ামী লীগকে ছেড়ে যাইনি। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী নির্বাচনে দলীয় সমর্থন চাই।
এদিকে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক মিন্নুর করোনা পরিস্থিতিতে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের দুস্থ মানুষদের ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানোসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাহায্য সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন। তিনি জানান, দল থেকে মনোনয়ন পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হলে, সর্ব প্রথম পৌর শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনসহ পৌরবাসীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করব ইনশাআল্লাহ।
এ বিষয়ে বর্তমান মেয়র হাবিব বলেন, ‘নির্বাচন হলে সবার আগে আমিই প্রার্থী হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করব। কিন্তু সীমানা জটিলতার মামলায় নির্বাচন স্থিতিশীল আদেশ দিয়েছেন আদালত।
পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, ‘কোন মামলায় নির্বাচন আটকে আছে, তা জানা নেই। তবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেওয়া হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এএম