বাংলা৭১নিউজ,(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ দুর্নীতি করে বাসের হেলপার থেকে কোটিপতি হয়েছেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নবিদুল ইসলাম। এরই মধ্যে তার দুর্নীতি তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যে সরেজমিন পরিদর্শন করে নবিদুলের সম্পদ অনুসন্ধান ও কয়েক দফা শুনানি শেষ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এবিএম রওশন কবীর।
এবিএম রওশন কবীর বলেন, বাসের হেলপার থেকে কোটিপতি হওয়া ইউপি চেয়ারম্যান নবিদুল ইসলামের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে দুদকে একটি অভিযোগ করা হয়েছিল। দুদক প্রধান কার্যালয় ঢাকা থেকে অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জেলা প্রশাসক সিরাজগঞ্জ বরাবর জুলাই মাসের প্রথম দিকে একটি চিঠি দেয়া হয়। জেলা প্রশাসক এই অভিযোগটি তদন্তের জন্য আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রওশন কবীর আরও বলেন, ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানের দুই দফা শুনানি করা হয়েছে। নির্বাচন অফিসে তার দেয়া হলফনামা ও রিটার্নে উল্লেখ করা সম্পদের সঙ্গে বর্তমান সম্পদ মিলিয়ে দেখা হবে। তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করা হবে শিগগিরই।
রওশন কবীর বলেন, গত ২২ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জ জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি আয়োজিত গণশুনানিতে ইউপি চেয়ারম্যান নবিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বাসের হেলপার থেকে নবিদুল ইসলাম প্রথমে সয়দাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে তিনি মুলিবাড়ি গ্রামে পাঁচতলা ও দ্বিতল দুটি বাড়ি করেন। ঢাকায় পাঁচটি ফ্ল্যাট কিনেছেন তিনি। এছাড়া নিজস্ব ২০টি ট্রাক, মাইক্রোবাসসহ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে তার। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, নিরীহ মানুষকে মামলা-মোকদ্দমার ভয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়া ছাড়াও মাদকসহ এলাকার সব অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন নবিদুল ইসলাম।
বাংলা৭১নিউজ/এমকে