বাংলা৭১নিউজ, সিলেট : সিলেটের শিল্পপতি রাগীব আলীকে ভারতে আটক করা হয়েছে। আজ সকালে ভারতের করিমগঞ্জে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে বলে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা জানিয়েছেন।
সাংবাদিকদের সুজ্ঞান চাকমা জানান, ‘বাংলাদেশে ফেরার পথে করিমগঞ্জ ইমিগ্রেশন পুলিশ রাগীব আলীকে আটক করেছে। তাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘রাগীব আলীকে ভারতে আটকের বিষয়টি আমরা জেনেছি। তবে কেন তাকে আটক করা হয়েছে, এটা নিশ্চিত নয়।’ তাকে দেশে ফেরত আনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’
সুজ্ঞান চাকমা জানান, রাগীব আলীর বিরুদ্ধে যখন তারাপুর চা-বাগান দখল সংক্রান্ত মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়, তখন তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। তার ভিসার মেয়াদ এক মাসেরও কম ছিল। এ ক্ষেত্রে বিনা ভিসায় ভারতে থাকায় তাকে আটক করা হয়ে থাকতে পারে।
প্রসঙ্গত, জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে সিলেটের তারাপুর চা-বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার ভূমি আত্মসাৎ এবং প্রতারণার আলোচিত দুটি মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলে-মেয়েসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে গত ১০ আগস্ট গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জালিয়াতির মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
অন্যদিকে প্রতারণার মামলায় রাগীব আলী, তার ছেলে আবদুল হাই, জামাতা আবদুল কাদির, মেয়ে রুজিনা কাদির, রাগীব আলীর আত্মীয় মৌলভীবাজারের দেওয়ান মোস্তাক মজিদ, তারাপুর চা-বাগানের সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
তবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরপরই ছেলেকে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান রাগীব আলী। এ ছাড়া মামলার আসামি রাগীব আলীর আত্মীয় দেওয়ান মোস্তাক মজিদ গত ১০ অক্টোবর আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ১২ নভেম্বর রাগীব আলীর ছেলে আবদুল হাইকে জকিগঞ্জ সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই দিন তাকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। মামলার আরেক আসামি পঙ্কজ কুমার গুপ্ত জামিনে রয়েছেন।
৪২২ দশমিক ৯৬ একর জায়গার ওপর তারাপুর চা-বাগান পুরোটাই দেবোত্তর সম্পত্তি। আশির দশকে জালিয়াতির মাধ্যমে এটি দখলে নেন রাগীব আলী। এ নিয়ে চলা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে একটি রিট পিটিশনের ভিত্তিতে গত ১৯ জানুয়ারি তারাপুরে রাগীব আলীর দখলদারিত্বকে অবৈধ ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ।
বাংলা৭১নিউজ/এম