রাজধানীসহ সারাদেশে শুরু হয়েছে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের পরীক্ষামূলক করোনার টিকা কার্যক্রম। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ২১টি কেন্দ্রসহ দেশের মোট ১৮৬টি কেন্দ্রে এ টিকা দেওয়া হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর নিলক্ষেত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিশুদের টিকা কার্যক্রম উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
সে সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা দেখছি, সব শিশু খুব আগ্রহ নিয়ে টিকা নিতে এসেছে।
আমরা পর্যায়ক্রমে ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে টিকার আওতায় নিয়ে আনব। এখন পর্যন্ত যারা রেজিস্ট্রেশন করেছেন আপাতত তাদের দেওয়া হচ্ছে। যারা রেজিস্ট্রেশন করতে পারেনি তাদের পরবর্তীতে দেওয়া হবে। আমরা কেন্দ্রভিত্তিক তা প্রদান করেছি। কারণ কেন্দ্র সিলেকশন করলে তারা অটোমেটিক স্কুলে এসে টিকা নিতে পারবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা প্রথমে সারাদেশের সিটিগুলোতে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করব। এরপর পর্যায়ক্রমে জেলা ও উপজেলায় টিকা কার্যক্রম চলবে। আজ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত টিকা কার্যক্রম চালাব। তিনি বলেন, শিশুদেরকে কমিননেটিভ টিকা দেওয়া হচ্ছে। শিশুদের ডোজ কমিয়ে পয়েন্ট ২ এমএল টিকার ব্যবস্থা করেছি।
কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত টিকা নেওয়ার পর কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো কিছু ঘটেনি। ঘটলেও তা সংখ্যায় খুবই কম। এরপরও আমরা সব কেন্দ্রে একটি ম্যানেজমেন্ট টিম রেখেছি, যারা যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সহজেই ম্যানেজ করতে পারবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, আশাকরি, খুবই সুন্দর আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা এ কার্যক্রম শেষ করতে পারব। প্রথম ১২ দিন স্কুলে চলবে টিকা কার্যক্রম। পরবর্তী দুদিন ভাসমান পথশিশুদের জন্য টিকা দেওয়া হবে। তারা যেসব অঞ্চলে থাকে সেখানে আমরা টিকা কার্যক্রম চালাব।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ