সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মুশফিকের বিদায়ের পর মুমিনুলের ফিফটি ডা. জোবাইদা রহমানের সাজা এক বছর স্থগিত কন্যাশিশুদের চোখে দেখতে হবে আগামীর নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন আজকের কন্যাশিশুর মধ্যেই সুপ্তভাবে বিরাজ করছে আগামী দিনের আদর্শ মা ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মনসুর ডিবি হেফাজতে দ্রুত সংস্কার ও নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি ড. ইউনূসের দুই নারী কর্মকর্তাকে কুপিয়ে সোনালী ব্যাংকের ৭ লাখ টাকা ছিনতাই বাংলাদেশ সফরে আসছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আইনের শাসনের বিকল্প নেই ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি ঢাকায় গ্রেফতার প্রাণী রক্ষায় আরও মানবিক হতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা রূপালী ব্যাংকে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালন শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের ৩৮৪তম সভা অনুষ্ঠিত সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার মারা গেছেন রেললাইনে উঠে গেছে তিস্তার পানি, দুর্ভোগ চরমে: লালমনিরহাট ধর্ষণ মামলায় আসামি হলেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ টি-টোয়েন্টিতে নতুন মুখ ২টি, ফিরলেন মিরাজ চট্টগ্রাম বন্দরে বিনিয়োগে আগ্রহী সংযুক্ত আরব আমিরাত সমবায় ব্যাংকের লকার থেকে ১২ হাজার ভরি সোনা গায়েব গত ২৪ ঘণ্টায় বছরের সর্বোচ্চ ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ৮

পর্যাপ্ত ডিম না ফোটায় মৎস্য সংকটের আশঙ্কা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ১৫ জুলাই, ২০১৮
  • ১৭৭ বার পড়া হয়েছে
ফাইল ছবি

বাংলা৭১নিউজ, এ কে এম আব্দুল্লাহ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি: দেশের অন্যতম মৎস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত নেত্রকোনার হাওরগুলোতে এ বছর মাছের পর্যাপ্ত ডিম না ফোটায় মৎস্য সংকট দেখা দিতে পারে বলে মৎস্যজীবীরা আশংকা করছে।

মৎস্য বিশেষজ্ঞরা জানান, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিস্তীর্ণ হাওরগুলো হচ্ছে মিঠা পানির মৎস্য আধার। এই হাওরগুলোতে বছরের ৭ /৮ মাস পানি থাকে।

বৈশাখ মাসের শুরুর দিকে বৃষ্টিপাতে নেত্রকোনার হাওর গুলোতে নতুন পানি আসতে শুরু করে। নতুন পানি আসার সাথে সাথে ১৫ বৈশাখ থেকে ৩০ বৈশাখের মধ্যে রুই, কাতলা, বোয়াল, সিং, মাগুর, কৈ, গইন্যা, আইড়, সরপুটি, কাল বাউশ, চিংড়ি, শৌল, গজারসহ প্রায় ৫০ প্রজাতির দেশীয় মা মাছ হাওরে প্রচুর ডিম ছাড়ে। সেই ডিম থেকে কয়েক দিনের মধ্যেই রেণু পোনা ফোটতে শুরু করে। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য মাছের ডিম না ফোটায় আষাঢ় মাস শেষ হতে চললেও এই ভরা বর্ষাতেও মাছের পোণা কিংবা তেমন মাছ চোখে পড়ছে না স্থানীয় জেলেদের। তাই মৎস্যজীবীদের কপালে দুঃশ্চিন্তার ভাজ পড়েছে। তারা হাওরাঞ্চলে মাছ সংকটের আশংকা করছে।

একদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঋতু পরিবর্তন ঘটছে, অন্যদিকে হাওরাঞ্চলের ফসল রক্ষায় অপরিকল্পিত বেড়ী বাঁধ নির্মাণ, নদ-নদী, খাল-বিল জলাশয়গুলো দিন দিন ভরাটের ফলে মাছের প্রজনন শূন্যতার দিকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য বিশেষজ্ঞরা।

খালিয়াজুরী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মজিবুর রহমান জানান, হাওরে প্রায় ৫০ প্রজাতির দেশীয় মাছ রয়েছে। নতুন পানি আসার সাথে সাথে মা মাছেরা প্রচুর ডিম ছাড়ে। সে সব ডিম থেকে প্রায় ১০ মেট্রিক টন রেণু পোনা উৎপাদিত হয়। বিস্তীর্ণ হাওরাঞ্চলে দৌড়াদৌড়ি করতে পারায় মাছগুলো দ্রুত বড় হয়ে উঠে। প্রতি বছর এখানে প্রায় ১২ হাজার মেঃ টন মাছ উৎপাদিত হয়। এখানকার উৎপাদিত মাছ স্থানীয় চাহিদা পূরণ করেও জাতীয় অর্থনীতিতে প্রায় ৩’শ কোটি টাকার  অবদান  রাখছে। এ উপজেলায় ৮ হাজার নিবন্ধনকৃত জেলে পরিবার ছাড়াও বর্ষাকালে মৎস্য আহরণ করে অন্তত ১৫ হাজার পরিবার সুখে স্বাচ্ছন্দে দিনাতিপাত করে। তিনি আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব তো রয়েছেই, পাশাপাশি এই খালিয়াজুরী উপজেলার বিভিন্ন হাওরে অপরিকল্পিত ফসল রক্ষা বেড়ীবাঁধ নির্মাণের কারণে মাছের প্রজনন বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে।

খালিয়াজুরীর মৎস্যজীবি নিখিল বর্মন বলেন, দুই বছর আগেও এই সময় হাওরে জাল টান দিলে ছোট সাইজের রুই, কাতলা, বোয়াল, কালবাউশ, গইন্যা ও আইড় মাছসহ নানা জাতের প্রচুর মাছ পাইতাম। কিন্তু এইবার হাওরে তেমন মাছ পাইতাছিনা।

ভল্লবপুর গ্রামের মৎস্যজীবি কালাচান বলেন, বর্ষাকালে হাওরে বের জাল দিয়া টান দিলে জালে মাছ ভইরা যাইত। কিন্তু এহন হাওরে সারা দিন জাল টানলেও মাছের দেহা পাইনা।

নেত্রকোনা জেলার হাওর উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি স্বাগত সরকার শুভ বলেন, দুর্যোগ যেন হাওরবাসীর পিছু ছাড়ছে না। গত বছর আগাম বন্যায় ফসল তলিয়ে যাওয়ায় উৎপাদিত ধান নষ্ট হয়ে পানি দূষিত হওয়ার পর মাছের মড়ক দেখা দিয়েছিল। এবার হাওরে মা মাছেরা পর্যাপ্ত ডিম ছাড়লেও রহস্যজনক কারণে মাছের পোনা ফোটে নাই। এক সময় এই হাওরে প্রায় ৬০ প্রজাতির দেশীয় মাছ পাওয়া যেত। সঠিক পদক্ষেপের অভাবে ইতোমধ্যে অনেক প্রজাতির মাছ হারিয়ে গেছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, ফসল উৎপাদনে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগ, পলি পড়ে প্রাকৃতিক জলাশয়গুলো ক্রমশ ভরাট হয়ে যাওয়া, পর্যাপ্ত পরিমাণে মাছের অভয়াশ্রম না থাকা, জলমহালগুলোতে বিষ দিয়ে মাছ শিকার ও শুকিয়ে মাছ ধরার প্রবণতাও মাছের উৎপাদনে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলেছে। তিনি বলেন, হাওর উপজেলা  মৎস্য কর্মকর্তাদেরকে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি কল্পে কি কি করনীয় সে সম্পর্কে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com