বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: মহাজোটের আসনবণ্টন ইস্যুতে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি কৌশলি অবস্থান নিলেও ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর যুক্তফ্রন্ট প্রার্থী চূড়ান্ত করে ফেলেছে।
জানা গেছে, যুক্তফ্রন্ট মহাজোটের কাছে ২৫টি আসনে তার জোটের প্রার্থী দেয়ার দাবি করবে। তবে বড় দল হিসেবে বিকল্পধারাই সবচেয়ে বেশি প্রার্থী পাবে।
চলতি সপ্তাহে বিকল্পধারা ও যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘মহাজোটে অংশ নেয়া নিয়ে আর কোনো লুকোচুরি নেই। জোটবদ্ধ হয়েই আমরা আগামী নির্বাচন করব।’
যদিও জোটের মুখপাত্র ও বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহী বি. চৌধুরী সোমবার জানিয়েছেন, মহাজোটের শরিক হওয়া এখনও আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। তবে আমরা আমাদের মতো প্রার্থী চূড়ান্ত করেছি।
তিনি বলেন, ‘জয়ী হবেন এমন ১৫ থেকে ২৫ প্রার্থীর তালিকা করা হয়েছে। তাদের বিষয়েই মহাজোটের সঙ্গে বৈঠকে বিস্তারিত বলা হবে।’
বিকল্পধারার দু’জন প্রেসিডিয়াম সদস্যও একই কথা বলেছেন। যদিও তারা নিজেদের নাম প্রকাশ করতে চাননি।
পরিবর্তন ডটকমকে তারা বলেন, ‘আমরা ২৫ প্রার্থী চূড়ান্ত করেছি। এটা নিয়েই মহাজোটের সঙ্গে দর কষাকষি করব। কুলার পরিবর্তে প্রতীক নৌকা এলেও আপত্তি নেই। তবে কমপক্ষে ১৫টি আসন আমাদের ছেড়ে দিতে হবে।’
সম্পর্ক রক্ষায় চুপ এরশাদ
মহাজোটের সবচেয়ে বড় শরিক দল জাতীয় পার্টি (জাপা)। তবে আসনবণ্টনের বিষয়ে এখনও দলটি অবস্থান স্পষ্ট করেনি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের জোটের শরিকদের জন্য সর্বোচ্চ ৭০টি আসন ছেড়ে দিতে চায়। এরপরই চুপসে যায় বিগত ৫ বছর বিরোধী দলে থেকেও সরকারের অংশীদার জাপা। কারণ, তারা এবার জোটের কাছে শতাধিক আসন দাবির কথা বলে আসছিল।
এ প্রসঙ্গে জাপা মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘আসনের চেয়ে সম্পর্কটা জরুরি। মহাজোটের প্রধান দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে বসব, পরে বলতে পারব। এখন অনেক কৌশলে আমাদের এগোতে হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বৈঠকেই আমরা আমাদের চাহিদা পেশ করব। আমাদের দলের যোগ্য ব্যক্তিদের মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানাব এবং তারা যাতে সেটি পান, সেজন্য সব ধরনের দর কষাকষি করা হবে।’
এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘মহাজোটে কত আসন চাইব, তা নিয়ে আমাদের দলীয় ফোরামে আলোচনা চলছে। প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার পর প্রকাশ করা হবে।’
তিনি দাবি করেন, ‘নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে পারবেন, এমন প্রার্থীদের তালিকা আমরা তৈরি করেই রেখেছি।’
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মহাজোট শরিকদের জন্য ৬৫ থেকে ৭০টি আসনে ছাড় দেবে। এক্ষেত্রে জোটের শরিক দলগুলোর যোগ্য প্রার্থী থাকলে, সেখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দেবে না।
তার এই বক্তব্যের পরই মূলত জাতীয় পার্টি সতর্কভাবে পা ফেলছে। ইতোমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এরশাদ। সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদও নিশ্চুপ। দলের অন্যান্য নেতারাও সচরাচর মুখ খুলছেন না।
জাপা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। এজন্য নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। সৌজন্যে: ফররুখ বাবু, পরিবর্তন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস