পর্যটকদের পদভারে মুখরিত সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। সৈকতের পাশাপাশি দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী ও সেন্টমার্টিনে চোখ পড়েছে ভ্রমণপিপাসুদের পদচারণা। এতে রমরমা পর্যটন ব্যবসাও। আর পর্যটকের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। তবে, পর্যটকদের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো প্রবণতাই নেই।
কেউ এই প্রথম, আবার কেউ আসছেন বারবার। সাগরের নীল জলরাশির ছোঁয়া পেতে সবারই আগ্রহ সমান। সৈকতে গোসল, ছুটাছুটি আর ঘুরে বেড়িয়ে সময় কাটাচ্ছেন ভ্রমণপিপাসুরা।
কক্সবাজারে ঘুরতে আসা এক পর্যটক জানান, মেয়ের আবদার পূরণে এবার সেন্টমার্টিন ভ্রমণে আসছি। কক্সবাজার থেকে সাগরপথে সেন্টমার্টিন যাত্রা সেই অনুভূতিই আসলে অন্যরকম। প্রকৃতি যে অসাধারণ রূপ দেখা যায়, আসলেই মুগ্ধতা ছড়ায়। আর সেন্টমার্টিনের সৌন্দর্য তো বলা অপেক্ষা রাখে না।
পর্যটকের ভিড়ে রমরমা পর্যটন ব্যবসা, যা আগামী আরও দুই মাস অব্যাহত থাকতে পারে বলে মনে করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
কক্সবাজার হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র আবু তালেব শাহ বলেন, রেসপন্স পাচ্ছি খুব ভালো। আমরা আশা করছি আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই রেসপন্স বজায় থাকবে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ জানিয়েছে, পর্যটন মৌসুমে পর্যটকদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় নম্বর এবং দিকনির্দেশনা দেওয়া আছে। তা ছাড়া ফিজিক্যালিও নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের সমুদ্রস্নানের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন অর্ধশতাধিক লাইফ গার্ড কর্মী।
বাংলা৭১নিউজ/সর