শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৫১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
পর্দা উঠল অমর একুশে বইমেলার বিশ্ব ইজতেমায় যৌতুকবিহীন ৬৩ বিয়ে পাকিস্তানে রাতভর সংঘর্ষে ১৮ সেনাসহ নিহত ৪১ বই ছাপানোর আগে একাডেমি বা পুলিশকে পড়তে দেওয়া হাস্যকর তৌহিদুলকে সাদা পোশাকধারীরা নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেছে গণঅভ্যুত্থান এবারের বইমেলায় নতুন তাৎপর্য নিয়ে এসেছে: প্রধান উপদেষ্টা পিচ্চি হেলাল-ইমনসহ শীর্ষ সন্ত্রাসীরা কে কোথায় জানে না পুলিশ! প্রায় এক বছর পর খুললো রাফাহ ক্রসিং সিরাজগঞ্জে ফুলজোড় নদীতে ডুবে তিন কলেজছাত্র নিখোঁজ দেশের কোথাও দখল-চাঁদাবাজিতে জামায়াত জড়িত নয়: জামায়াত আমির আরাকান আর্মি থেকে মুক্তি পেয়ে টেকনাফে পৌঁছাল কার্গো বোট বাংলা একাডেমি পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা টাকা না দেওয়ায় লিবিয়ায় দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা শিল্পের মর্যাদা আসবে শিল্পীর মর্যাদার মাধ্যমে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা কথা বলবেন হিসাব করে, উপদেষ্টাদের উদ্দেশ্যে সেলিমা রহমান বিশ্ববাজারে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করলো সোনা ঢাকাকে হারিয়ে প্লে অফে খুলনা, রাজশাহীর বিদায় ঢাকায় মেক্সিকান দূতাবাস স্থাপনে গুরুত্বারোপ বই প্রকাশের আগে পান্ডুলিপি সংক্রান্ত সংবাদের বিষয়ে যা বলছে ডিএমপি ঠাকুরগাঁওয়ে রামদা হাতে ত্রাস সৃষ্টিকারী সেই জ্যোতি গ্রেফতার

পর্দা উঠল অমর একুশে বইমেলার

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপলোড সময় শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এর উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার বিকাল ৪টায় বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী বইমেলার উদ্বোধন করেন তিনি।এবারের বইমেলার প্রতিপাদ্য বিষয় ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান : নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ’।

আজ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত (৮ ফেব্রুয়ারি ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ছাড়া)। 

২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহিদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায়। চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। এবারের মেলায় মোট ৭০৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এরমধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১৯৯টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৬০৯টি। এছাড়া মোট ইউনিট থাকছে ১০৮৪টি (গত বছর প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৪২টি এবং ইউনিট ছিল ৯৪৬টি)। 

এবার মোট প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৩৭টি। এরমধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬টি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায় থাকছে লিটল ম্যাগাজিন চত্বর। সেখানে প্রায় ১৩০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিশু চত্বরে প্রতিষ্ঠান ৭৪টি এবং ইউনিট ১২০টি (গত বছর প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৮টি এবং ইউনিট ১০৯টি)।

বাংলা একাডেমির ৩টি প্যাভিলিয়ন এবং শিশু-কিশোর উপযোগী প্রকাশনার বিপণনের জন্য ১টি স্টল থাকবে। ৮ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্যতীত শুক্র ও শনিবার মেলায় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ‘শিশুপ্রহর’ থাকবে। অমর একুশে উদ্যাপনের অংশ হিসাবে শিশুকিশোর চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন থাকছে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকবে। এবারের মেলায় বাংলা একাডেমি প্রকাশ করছে নতুন ৪৩টি বই। মেলায় বাংলা একাডেমি এবং অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ ছাড়ে বই বিক্রি করবে। প্রতিদিন বিকাল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে সেমিনার এবং সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

এবার বইমেলার বিন্যাস গতবারের মতোই রাখা হয়েছে। তবে কিছু আঙ্গিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ করে মেট্রোরেল স্টেশনের অবস্থানগত কারণে গতবারের মেলার বাহিরপথ এবার একটু সরিয়ে মন্দির-গেটের কাছাকাছি স্থানান্তর করা হয়েছে।

এছাড়া টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্ল্যান্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অংশে মোট চারটি প্রবেশ ও বাহিরপথ থাকবে। শিশু চত্বর মন্দির-গেটে প্রবেশের ঠিক ডান দিকে বড় পরিসর রাখা হয়েছে, যেন শিশুরা অবাধে বিচরণ করতে পারে এবং কাঙ্ক্ষিত বই সহজে সংগ্রহ করতে পারে।

খাবারের স্টলগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনের সীমানা-ঘেঁষে বিন্যস্ত করা হয়েছে। নামাজের স্থান, ওয়াশরুমসহ অন্যান্য পরিষেবার ব্যবস্থা থাকছে।

বইমেলায় প্রবেশ ও বাহিরপথে পর্যাপ্ত সংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। মেলাজুড়ে তিন শতাধিক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। মেলা ধূমপান ও পলিথিনমুক্ত থাকবে বলে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

এই আয়োজনকে পরিবেশ সচেতন এবং জিরো ওয়েস্ট বইমেলায় পরিণত করার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে আয়োজনস্থল ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় স্থাপিত স্টল, দোকান, মঞ্চ, ব্যানার, লিফলেট, প্রচারপত্র, ফাস্ট ফুড, কফি শপ, খাবার দোকান ইত্যাদি প্রস্তুতে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার শতভাগ পরিহার করে পুনঃব্যবহারযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব উপকরণ যেমন পাট, কাপড়, কাগজ ইত্যাদির ব্যবহার করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com