বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: গত বিশ্বকাপের মতো এবারও পর্তুগাল দলটাকে রোনালদো একাই টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। সেটা শুধু বিশ্বকাপের হিসেব ধরে নয়। এর আগে রোনালদোর পর্তুগালের হয়ে খেলা পরিসংখ্যানও তাই বলছে।
রোনালদো পর্তুগালের হয়ে মাঠে নেমেছেন এমন ম্যাচে দ্যাস কুইনাসরা গোল করেছেন ৩২টি। তার মধ্যে রোনালদো গোল ১৫টি। তার পরে পর্তুগালের হয়ে বেশি গোল করেছেন রিকার্ডো কারেসমা। তার গোল সংখ্যা মোটে ৪টি।
শেষ আটে যাওয়ার লড়াইয়ে শনিবার রাত ৮টায় মুখোমুখি হচ্ছেন রিয়াল মাদ্রিদের রোনালদো এবং বার্সেলোনার সুয়ারেজ। অনেকে এটাকে রোনালদো বনাম সুয়ারেজের খেলা বলে মনে করছেন। যদিও জাতীয় দলের হয়ে তারা আগে কখনো মুখোমুখি হননি। হবেনই বা কি করে। সর্বশেষ পর্তুগাল এবং উরুগুয়ে মুুখোমুখি হয়েছে সেই ১৯৭২ সালে। তখন রোনালদো-সুয়ারেজের জন্মও হয়নি। আর তাই তাদের দৌরত্মটা রাশিয়াতেই শুরু হচ্ছে বলা চলে।
তবে রোনালদো এখন পর্যন্ত রাশিয়া বিশ্বকাপে নিজের যে ফর্ম দেখিয়েছেন তাতে তিনি দুই স্ট্রাইকারের সমান। বিশেষ করে উরুগুয়ে যখন কাভানি-সুয়ারেজ দুই স্ট্রাইকার নিয়ে খেলছেন। তখন স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম মার্কার দেওয়া পরিসংখ্যান তেমনটাই বলেছে। রোনালদো রাশিয়া বিশ্বকাপে তিন ম্যাচে চার গোল করেছেন। সেখানে কাভানি-সুয়ারেজের গোল তিনটি। অন্যদিকে রোনালদো গোলে শট নিয়েছেন ১৫টি। তার মধ্যে সাতটি শট ছিল গোলের লক্ষ্যে। আর সুয়ারেজ-কাভানি মিলে গোলে শট নিতে পেরেছেন ৮টি।
এছাড়া তার দারুণ খেলার কারণে তিনি প্রতিপক্ষের রক্ষণের নজরে থাকছেন বেশি। তার স্বপক্ষে যুক্তি দেবে কতবার রোনালদো ফাউলের শিকার হয়েছেন সে পরিসংখ্যান। রোনালদো গ্রুপ পর্বে তার খেলা তিন ম্যাচে ১৩ বার ফাউলের শিকার হয়েছেন। অন্যদিকে সুয়ারেজ (ছয়বার) এবং কাভানি (তিনবার) মিলে ফাউলের শিকার হয়েছেন নয়বার। রোনালদোর থেকে বেশি ফাউলের শিকার হয়েছেন কেবল নেইমার ১৭ বার।
এছাড়া সতন্ত্রভাবে রোনালদো বিশ্বকাপে সফল পাস দিয়েছেন ৭৪টি। সুয়ারেজের সেখানে ৫৬টি এবং কাবানি ৬১টি। আর তাই উরুগুয়ে যেমন নক আউট পর্বে পর্তুগালকে হারিয়ে শেষ আটে যাওয়ার দায়িত্ব কাভানি-সুয়ারেজের কাঁধে দেবে।
পর্তুগালের ভারটা রোনালদোকে নিজের কাঁধেই তুলে নিতে হবে। আর তাই রাশিয়ার সোচিতে দুই দেশের সমর্থকরা চেয়ে থাকবে এই দুই দেশের তিন তারকার দিকে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস