বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: অস্বচ্ছতা ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ এনে শুক্রবার অনুষ্ঠিত সরকারি আট ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করেছেন পরীক্ষার্থীরা।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়া বহু শিক্ষার্থী বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে জড়ো হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন। সেখান থেকে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার দিকে যান।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ব্যানার, প্ল্যাকার্ড হাতে মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে মানববন্ধন করতে যান আন্দোলনকারীরা। পুলিশ সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দিলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু করেন।
লিজা নামে এক পরীক্ষার্থী জানান, ফেসবুকে ‘আট ব্যাংকের পরীক্ষা বাতিল চাই’ নামে গ্রুপ খুলে সংগঠিত হয়েছেন তারা।
তিনি বলেন, এমন প্রহসনের পরীক্ষা বাতিল করতে হবে। প্রশ্নফাঁস হয়েছে। অনেক কেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহার করে পরীক্ষা দিয়েছে। অনেক কেন্দ্রে সিট প্ল্যান ছিল না। ঠাসাঠাসি করে বসে দেখাদেখি করে পরীক্ষা দিয়েছেন অনেকে। সবখানেই ছিল আসন অব্যবস্থাপনা।
আরেক পরীক্ষার্থী ইমরান মোল্লা জানান, হযরত শাহ আলী কলেজে পরীক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত আসন ছিল না। সেখানে ৫ হাজার ৬০০ পরীক্ষার্থী পরীক্ষাই দিতে পারেননি।
সোহেল রানা জানান, অনেক কেন্দ্রে সাড়ে ৩টার পরীক্ষা ৪টায় শুরু হয়েছে। অনেক পরীক্ষার্থী মোবাইল বের করে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে। এই সব কিছুর প্রমাণ রয়েছে তাদের কাছে। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের দাবি, ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি বিলুপ্ত করে পিএসসির আদলে আলাদা করে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে পরীক্ষা নিতে হবে। ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যসচিব মোশাররফ হোসেন খানকে পদত্যাগ করতে হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে সিট প্ল্যান নিশ্চিত করতে হবে। বিতর্কিত কেন্দ্রগুলোকে তালিকা করে বাদ দিতে হবে। কেন্দ্রগুলোয় আইনশৃংখলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করতে হবে। ঢাকাকেন্দ্রিক নয়, বিভাগীয় শহরে পরীক্ষার কেন্দ্র দিতে হবে।
মানববন্ধন শেষ তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে যান।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সরকারি ৮ ব্যাংকের সিনিয়র অফিসারের ১ হাজার ৬৬৩টি শূন্য পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস