অনুমানের ওপর ভিত্তি করে প্রতি ট্রাকে ১২ মেট্রিক টন কয়লা নির্ধারণ করেই আদায় করা হচ্ছে রাজস্ব। এতে শুল্ক আদায়ে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি কাস্টমসের কর্মকর্তা। তবে আমদানিকারকদের দাবি সঠিকভাবে শুল্ক পরিশোধ করেই কয়লা আমদানি করা হচ্ছে।
মেঘালয়ের দক্ষিণ গারো পাহাড় থেকে কয়লাবোঝাই সারিবদ্ধ ট্রাক ‘বিএসএফ’ এর ক্লিয়ারেন্স নিয়ে কয়েক’শ গজ পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায়। কড়ইতলী স্থলবন্দরে ঢুকতেই ট্রাক থামিয়ে ভারতীয় চালক কয়লার চালান নিয়ে কড়ইতলী কাস্টমস কক্ষের দিকে এগিয়ে আসতেই মুখোমুখি সময় নিউজের। ভারতীয় কাস্টমসের দেওয়া পরিমাপেই ঢুকছে কয়লা, প্রতিটি ট্রাকেই একই পরিমাপ।
বন্দরে কোনো ধরনের পরিমাপ ছাড়া কয়লা প্রবেশের বিষয়ে কাস্টমস কর্মকর্তা কথা না বললেও বিজিবি সদস্য জানালেন প্রতিটি ট্রাকেই কয়লার পরিমাপ ধরা হয় একই।
ভারতীয় ওজন স্কেলে পরিমাপকৃত কয়লা দেশের বন্দরে প্রবেশের পর তা বাংলাদেশি ট্রাকে নেওয়া হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ওজন স্কেল আর ফিতা দিয়ে কয়লা পরিমাপের ফলাফলে রয়েছে ভিন্নতা।
গোবরাকুড়া স্থলবন্দর হালুয়াঘাটের সিএন্ডএফ এজেন্ট জুলহাস উদ্দিন জাকি জানান, এলসির মধ্যে থাকে যে ১০ থেকে ১৫ কেজি মাল বেশি থাকলেও সেটার সঠিক বলে গণ্য হবে। সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত মাল আসার কোনো সুযোগ নেই।
হালুয়াঘাটের কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অশোক সরকার অপু জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের ওজন মাপার যন্ত্র না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ভারতের ওজনেই মাল আমদানি করতে হচ্ছে।
প্রতি মেট্রিক টন কয়লার বিপরীতে শুল্ক পরিশোধ করতে হয় ২ হাজার ৩৯৪ টাকা। আমদানিকারকদের হিসাব অনুযায়ী স্বাভাবিক সময়ে প্রতিবছর হালুয়াঘাটের দুটি স্থলবন্দর দিয়ে কয়লা আসে গড়ে সাড়ে তিন লাখ মেট্রিক টন। তবে করোনার কারণে গত বছর আমদানি হয়েছে মাত্র ৫৭ হাজার মেট্রিক টন কয়লা।
বাংলা৭১নিউজ/এএইচ