বাংলা৭১নিউজ, নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর স্বর্ণদ্বীপের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিলে এই দ্বীপ জাতীয় অর্থনীতিতে বড় ধরণের অবদান রাখবে। আয়তনের দিক দিয়ে প্রায় সিঙ্গাপুরের সমান এবং সমুদ্রের সন্নিকটে এই দ্বীপকে সুন্দরভাবে সাজাতে পারলে ভবিষ্যতে এটি বাংলাদেশের জন্য আরেক সিঙ্গাপুর হয়ে যেতে পারে। দ্বীপের চারপাশে বাঁধ দেয়া দরকার বলেও মত দেন তিনি।
আজ শনিবার নোয়াখালীর হাতিয়ায় সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্বর্ণদ্বীপ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
দুপুরে হেলিকপ্টারযোগে স্বর্ণদ্বীপ নামেন রাষ্ট্রপতি। এরপর তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এবং সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মাণাধীন ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হবে।
এরপর রাষ্ট্রপতি ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে স্বর্ণদ্বীপে ম্যানুভার প্রশিক্ষণ এলাকার পরিকল্পিত ব্যবহার দেখে প্রশংসা করেন এবং স্বর্ণদ্বীপের প্রশিক্ষণ সুবিধা সেনাবাহিনীর দক্ষতা বৃদ্ধিতে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিকল্পিত বনায়ন, উন্নত প্রজাতির নারিকেল বাগান, মিলিটারি ফার্ম পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
এ সময় সেনাবাহিনীর প্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌ বাহিনীর প্রধান এডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক, মেজর (অবঃ) সুবিদ আলী এমটি, সাবেক সেনাপ্রধান হারুন অর রশিদ, ডিআইজি মনিরুজ্জামান, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব আলম তালুকদার, পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস