রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মালয়েশিয়ায় ১৩২ বাংলাদেশি গ্রেফতার ডুমুরিয়ায় অস্তিত্ব সংকটে ৭ নদী জাপানে শক্তিশালী ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্প রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুত গতির বাসচাপায় নারী নিহত রোববার থেকে ফের তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি হতে পারে দাবদাহে ঢাকায় উৎপাদনশীল খাতে বছরে ক্ষতি ২৭০০ কোটি ডলার ঘুমন্ত হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা: একজনের দায় স্বীকার, দুজনের রিমান্ড ভারতীয় মসলায় ক্যানসারের উপাদান: তথ্য সংগ্রহ করছে যুক্তরাষ্ট্র দেশে আলাদা ফরেনসিক বিশ্ববিদ্যালয় এখন সময়ের দাবি : সিআইডি প্রধান গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছে ২৯ প্রতিষ্ঠান নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক ৩ মাসে গ্রামীণফোনের আয় ৩৯৩২ কোটি টাকা, গ্রাহক বেড়েছে ১০ লাখ পাঁচদিনে সোনার দাম কমলো ৬৪৯৭ টাকা প্রবাসীদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান প্রতিমন্ত্রীর ঢাকায় দিনে-দুপুরে জুয়েলারি ব্যবসায়ীর সর্বস্ব লুট বনানীতে যাত্রীবাহী বাসে হঠাৎ আগুন হাসপাতালে ডাক্তার না থাকায় অনেককে শোকজ করা হয়েছে বরিশালে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত করতেন তারা

পরাজয়ের ভাবনা বাংলাদেশ দলে!

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
  • ১২০ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: শ্রীলঙ্কার স্পিনাররা বোলিংয়ে এলেই চট্টগ্রামের উইকেট বোলিং স্বর্গ হয়ে উঠবে সেই শঙ্কা ছিল সবার মনে। শঙ্কা ঠিকই সত্য হল।

রঙ্গনা হেরাথ, লাকশান সান্দাকান ও দিলরুয়ান পেরেরার বলগুলো সাপের ফনার মতো ফুসে উঠছিল বারবার। সাপের খোলসের মতো হঠাৎ বদলায়নি উইকেট। পার্থক্য গড়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কার নিয়ন্ত্রিত বোলিং ও বাংলাদেশের বাজে এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং। সাথে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের নখ-দন্তহীন বোলিং ও সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার একেকটি দুঃস্বপ্নের গল্প তো আছেই। সব মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার অধিপত্যে চট্টগ্রাম টেস্ট হারের খুব কাছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের করা ৫১৩ রানের জবাবে ৯ উইকেটে ৭১৩ রান করে ২০০ রানের লিড নেয় শ্রীলঙ্কা। পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে শেষ বিকেলে ২৬.৫ ওভার খেলতেই ৮১ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ১১৯ রানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের লক্ষ্য পঞ্চম দিনের পুরোটা সময় ব্যাটিং করে কাটিয়ে দেওয়া। সেজন্য যে মেজাজের প্রয়োজন তা কতটুকু আছে তা সময়ই বলে দিবে।

তবে পূর্বের পরিসংখ্যান বাংলাদেশকে সমর্থন করছে না কিছুতেই। আর শেষ বিকেলের ব্যাটিং চিত্রও বাংলাদেশকে পিছিয়ে রাখছে।

দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখে মনে হয়নি, ম্যাচ বাঁচানোর কোনো জেদ ছিল টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের মনে। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং। বাইরের বলগুলোকে চার্জ করে রান উৎসব করার উপক্রম!  তাতে তিন-চারবার বেঁচে গেলেও বেশিক্ষণ ভাগ্যকে পাশে পায়নি। ঠিকই দিন শেষে ড্রেসিং রুমে নিজেদের দুষেছেন ব্যাটসম্যানরা।

সাজঘরে ফেরার শুরুটা ইমরুল কায়েসকে দিয়ে। বয়স হয়ে গেছে ত্রিশের উপরে। খেলে ফেলেছেন ষাটটিরও বেশি টেস্ট ইনিংস। তবুও তার ব্যাটিং গড় ২৬ পেরোয় না। অদ্ভুতুরে সব আউটই তার ক্যারিয়ারের সবথেকে বড় কাঁটা। দলের সিনিয়র ক্রিকেটার হয়েও জায়গা স্থির হয়না ।

প্রথম ইনিংসে ৪০ করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ইমরুল হাল ছাড়েন ১৯ রানে। শুরু থেকে যেই মেজাজে ব্যাটিং করছিলেন সেটা টেস্টে মানানসই না, দলের এমন পরিস্থিতিতে তো আরও না। চাপ কমাতে হেরাথকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে মেরেছেন ছক্কা। কিন্তু ওসব শটই প্রতিপক্ষকে দিয়ে দেয় বার্তা।

তাকে পড়তে ভুল করেননি চান্দিমল। ফাইন লেগ থেকে নিজেকে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সরিয়ে উইকেটের জন্য ফাঁদ পাতেন চান্দিমল। ডানহাতি স্পিনার দিলরুয়ান পেরেরা ফ্লাইট ডেলিভারি দিলেন লেগ স্ট্যাম্পের উপরে। প্যাডেল সুইপ করতে গিয়ে ঠিকমত ব্যাটে লাগাতে পারেননি ইমরুল। ক্যাচ ধরার আগেই চান্দিমলের মুখে হাসি!

BD_SL_Top20180203182553

আত্মবিশ্বাসী ও ফর্মে থাকা তামিমকে ফেরানোর জন্য প্রয়োজন ছিল ব্যতিক্রমী আক্রমণ। অফস্পিনার দিলরুয়ান পেরেরা ও ধনাঞ্জয়াকে দিয়ে হচ্ছিল না কোনো কাজ। ৪১০ উইকেট পাওয়া রঙ্গনা হেরাথকে খুব দেখে-শুনে খেলছিলেন তামিম। তাই সান্দাকানকে আক্রমণে নিয়ে আসেন চান্দিমল।

চায়নাম্যান সান্দাকানকে বোলিংয়ে এনে শ্রীলঙ্কা পায় দ্বিতীয় সাফল্য। হাওয়ায় ভাসানো বল উল্টোদিকে টার্ন করে বেরিয়ে যাচ্ছিল। ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করতে গিয়ে তামিমের ব্যাটের আলতো ছোঁয়া পায় বল। বাকি কাজটুকু সারেন ডিকাভেলা। ৬২ বলে ৪১ রান করে তামিম সাজঘরের পথ ধরেন নিজ থেকেই।

বাংলাদেশের কফিনে শেষ পেরেকটি ঢুকে দেন রঙ্গনা হেরাথ। তাও দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিককে দিয়ে। খেলা শেষ হওয়ার তখন ২ বল বাকি। হেরাথের বল ঠিকমতোই ডিফেন্স করেছিলেন মুশফিক। কিন্তু বল মাটিতে পড়ার আগে তার কেডসে গেলে শূন্যে লাফিয়ে উঠে। মুহূর্তেই সামনে ডাইভ দিয়ে বল তালুবন্দি করেন কুশল মেন্ডিস। আম্পায়ার প্রথমে আউট দেননি। তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নিয়ে মুশফিককে সাজঘরের পথ দেখান। আউট হওয়া মুশফিক এগিয়ে গেলেও মুমিনুলের পা যেন ড্রেসিং রুমের পথে চলতে চাচ্ছিল না। তার কাঁধে তো এখন পুরো রাজ্যের চাপ।

এর আগে  রৌদ্রজ্জ্বল দিনে ৫০৪ রানে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে শ্রীলঙ্কা। দিনের শুরুতেই রোশন সিলভা তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। তবে বেশিদূর নিতে পারেননি নিজের ইনিংস। মেহেদী হাসানের নিচু বলে কাট করতে গিয়ে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দেন ১০৯ রানে।

নতুন বল নিয়ে ১৬২তম ওভারের প্রথম বলেই সাফল্য পেতে পারতেন মিরাজ। কিন্তু ডিকাভেলার ব্যাট ছোঁয়া বল শর্টে দাঁড়ানো মুশফিকের খুব কাছ দিয়ে বেরিয়ে যায়। সেই ডিকাভেলা পরবর্তীতে থামেন ৬২ রানে মিরাজের বলেই। মাঝে ১৭ রানে স্লিপে মিরাজের হাতে জীবনও পান শ্রীলঙ্কার উইকেটরক্ষক এ ব্যাটসম্যান।

দিনেশ চান্দিমালকে মধ্যাহ্ন বিরতির পর প্রথম ওভারে সরাসরি বোল্ড করেন তাইজুল। ১৩ রানের জন্য সেঞ্চুরির স্বাদ পাওয়া হয়নি চান্দিমালের। শেষ দিকে দিলরুয়ান পেরেরার ৩২ ও রঙ্গনা হেরাথের ২৪ রানের সাত’শ এর ঘরে যায় শ্রীলঙ্কার স্কোর। তাইজুল হেরাথকে ২৪ রানে এলবিডব্লিউ করলে ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। ততক্ষণে বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ৭১৩।

বল হাতে ৪ উইকেট নিলেও অনাকাঙ্খিত রেকর্ড গড়েছেন তাইজুল ইসলাম। ৬৭.৩ ওভারে ২১৭ রান দিয়ে সবচেয়ে বেশি বল ও রান দেওয়ার রেকর্ডটা মোহাম্মদ রফিক ও সাকিব আল হাসানের থেকে ছিনিয়ে নেন তাইজুল। ৪৯ ওভারে ১৭৪ রানে ৩ উইকেট নেন মিরাজ।

পড়ন্ত বিকেলে চান্দিমল, হেরাথ, সান্দাকান ও মেন্ডিসদের হাসি থামতে চাইছিল না। কেনই বা থামবে? সাগরিকায় বড় জয়ের সুবাতাস যে পাচ্ছে তারা। উল্টোচিত্র বাংলাদেশ শিবিরে। বাজে বোলিংয়ের সাথে দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ের চূড়ান্ত নমুনা।

পরাজয়ের ভাবনা তো দলে ঢুকেই পড়েছে! এখন শুধু ভাগ্যদেবীকে পাশে পাওয়ার প্রার্থনা। ভালো ব্যাটিং হলে হাথরুসিংহের বিপক্ষে পরাজয় এড়ানো সম্ভব। অন্যথায় কোনো পথ নেই খোলা।

বাংলা৭১নিউজ/এমআর/বিকে

 

 

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com