সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৯:০৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চিপসের প্যাকেট ১, ডাবের খোসা ও দইয়ের পাত্র ২ টাকায় কিনবে ডিএনসিসি সিরাজগঞ্জে গ্যাস লাইনের পাইপ স্থাপনের সময় মাটিচাপা পড়ল শ্রমিক দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর চুয়াডাঙ্গা-যশোরে স্বস্তির বৃষ্টি ১০ মে ঢাকায় সমাবেশ করবে বিএনপি ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রলীগের কর্মসূচি ইলিশের উৎপাদন বেড়ে ৫.৭১ লাখ টন: মন্ত্রী চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী সুন্দরবনে আগুন কেন, গভীরভাবে খতিয়ে দেখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর লোডশেডিং আগের তুলনায় কমেছে, দাবি জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রীর কাছে শপথ নিলেন লালমনিরহাট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বোবা ছেলেকে কুমিরের মুখে ফেললেন নারী ইউক্রেনের কাছে পারমাণবিক মহড়ার নির্দেশ পুতিনের চট্টগ্রামে কালবৈশাখীর তাণ্ডব : সড়কে গাছ পড়ে যান চলাচল ব্যাহত দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে একীভূত হবে না ন্যাশনাল ব্যাংক, নিজেরাই সবল হতে চায় প্রাথমিকে মঙ্গলবার থেকে স্বাভাবিক রুটিনে ক্লাস রাষ্ট্রপতির সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সাক্ষাৎ ধামরাই ঝড়ে টিনের চালা ভেঙে পড়ে দুই নিরাপত্তারক্ষী নিহত হিলি দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি মাঠে কাজ করছিলেন স্বামী, খাবার দিতে গিয়ে বজ্রপাতে গৃহবধূ নিহত

পরগাছা নষ্ট করছে নান্দনিকতা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ২২ মার্চ, ২০১৮
  • ১২৩৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, জামাল হোসেন বাপ্পা, বাগেরহাট প্রতিনিধি: অযত্ন আর অবহেলায় রয়েছে বাগেরহাটের ঐতিহ্যবাহি অযোধ্য মঠ। মঠের উপরিভাগে বেড়ে ওটা পরগাছা ও প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে ঝুকিতে রয়েছে মূল্যবান প্রাচীন এ স্থাপনাটি। বাগেরহাট সদর উজেলার যাত্রাপুর বাজার থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে বারুইপাড়া ইউনিয়নের ভৈরব নদীর পূর্ব তীরে কোদলা গ্রামে অবস্থিত ঐত্যিবাহি এ মঠটি। প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হলেও প্রাচীন এ মঠটি দেখতে আশা পর্যাটকদের জন্য নেই নূন্যতম সুবিধা। আর এ কারনে স্থাপত্য নান্দনিকতায় এটি দেশের সবচাইতে সুন্দরতম মঠ হলেও এখানে বেড়াতে আসা দর্শার্থীনা পড়ছেন নানা বিড়াম্বনায়।
কবে কার দ্বারা এ মঠ নির্মিত হয়েছিল তার সঠিক কোন তথ্য না পাওয়া গেলেও বাগেরহাট প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর সূত্রে জানাযায়, ঐতিহ্যবাহি এ মঠটি সপ্তদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে নির্মিত। বহুকাল আগে মঠের দক্ষিণ কার্নিসের নিচে প্রায় অদৃশ্যমান দুই লাইনের একটি ইটে খোদাই করা লিপি অনুযায়ী দেবতার অনুগ্রহ লাভের আশায় কোনো এক ব্রাহ্মণ মঠটি নির্মাণ করেছিলেন। তবে জনশ্রুতি আছে যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্য তার সভাসদ গৃহের পন্ডিত অবিলযম্বা সরস্বতীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে মঠটি নির্মান করেন।

সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মঠটির দেয়ালে লাল রংঙের ইটের উপর খোদাই করা করা অলংকার গুলোতে অযতœ আর অবেহলোয় সেদলা পড়েছে। মঠে প্রবেশ দরজার উপরের অংশে পোড়া মাটিতে আকর্ষনীয় অলংকার করা বেশ কয়েকটি ইট নষ্ট হয়ে গেছে। কয়েকটি স্থানে ইটের উপর খোদাই করা কারুকাজ গুলো নষ্ট হয়ে নিচে পড়ছে। মঠের উপরে জন্ম নেয়া পরগাছার কারনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেয়াল।
মঠের দ্বায়িত্বে থাকা কেয়ারটেকার সামছুল আলম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মঠের উপরে জন্ম নেয়া পরগাছা গুলো পরিস্কার করার জন্য কোন উদ্দ্যোগ নেয়া হয়নি। যে কারনে পরগাছার শিকরে মঠের দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এগুলো মঠের উপরে অংশে হওয়ার কারনে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে তা কেটে ফেলা সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি সম্পর্কে খুলনা প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর অবগত ধাকলেও পরগাছা গুলোর ব্যাপারে তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। সংস্কার কাজ না করার কারনে অলংকার খোদাইকৃত অনেক গুলো ইট নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া রাতে এখানে কোন আলোল ব্যবস্থা নেই। বেড়াতে আসা পর্যটকদের নেই নূন্যতম সুযোগ সুবিধা। কোন হোটেল ও বাথরুম না থাকায় বিশেষ কোন দিন ছাড়া দর্শনার্থীরা খুব কম আসে।

খুলনার পাইকগাছা থেকে অযোধ্য মঠ দেখতে আসা জিয়াউল আহসান বলেন, অযোধ্য মঠ সম্পর্কে বইতে অনেক পড়েছে কিন্তু বাস্তবে দেখা হয়নি। তাই সময় পেয়ে ঐতিহ্যবাহি এ মঠটিকে দেখতে আসা। কিন্তু এখানে আসার পর সদস্যায় পড়েগেছি। মঠের আশপাশের কোন খাবার হোটেল বা দোকান না থাকায় মঠটি ভালোভালে ঘুরে না দেখেই ফিরে যেতে হচ্ছে।
অযোধ্য মঠ দেখতে আসা বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বাসিন্দা শিক্ষিকা আয়েসা আক্তার নিলু বলেন, নিজ জেলাতে ঐতিহ্যবাহি এ মঠটি থাকলেও সময় সল্পতার কারনে দেখতে আসা হয়নি। তাই সময় বের করে মঠটি দেখতে আসা। তবে এখানে আসার পর কোন বাথরুম না থাকায় বিড়াম্বনায় পড়েছি। এ কারনে অল্প সময় থেকে আবার ফিরে যেতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাগেরহাট জাদুঘরের কাস্টডিয়ান গোলাম ফেরদাউস বলেন, খুলনা প্রততœত্ত্ব অধিদপ্তরের একজন উপ-প্রকৌশলী ঘটনাস্থল পরির্দশ করেছেন। তিনি অযোধ্য মঠটি ব্যাপক সংস্কার করার জন্য একটি প্রাককলন তৈরী করেছেন। আশা করি চলতি বছরের মধ্যে কাজ শুরু হতে পারে।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com