বাংলা৭১নিউজ, পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলে পরকীয়া প্রেমে আসক্ত দুই শিক্ষকের বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। বুধবার বাউফল সদর ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানাগেছে, উপজেলার ৯৫ নং দক্ষিণ হোসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আনিছুর রহমান ও লুবনা আক্তার দীর্ঘদিন থেকে পরকীয়া প্রেম করছেন। পরকীয়া প্রেমে বাঁধা দেয়ায় আনিছুর রহমান তার স্ত্রীকে দীর্ঘদিন থেকে শাররীক ওমানসিক নির্যাতন করছেন।
অপরদিকে বিধবা লুবনা আক্তারের ১টি সন্তান রয়েছে। স্কুল চলাকালীন তারা একে অপরের সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরুপ প্রভাব পড়ছে। বিষয়টি অভিভাবকরা একাধিকবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটিকে অবহিত করলেও তারা কর্ণপাত করেননি। বুধবার ২ শতাধিক এলাকাবাসী হোসনাবাদ বাজারে এসে বিক্ষোভ শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা বিদ্যালয় ঘেরাও করে দুই শিক্ষকের বিচারের দাবী করেন।
পরে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা বিচারের আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্দ এলাকাবাসী বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। তবে সাংবাদিকদের কাছে শিক্ষক আনিছুর রহমান ও লুবনা আক্তার নিজেদেরকে স্বামী ও স্ত্রী দাবী করে বলেন, কিছুদিন আগে আমরা বিয়ে করেছি, এখন আমরা স্বামী-স্ত্রী। তবে বিয়ের পক্ষে কোন প্রমাণপত্র দেখাতে পারেননি তারা।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুলতান আহমেদ তালুকদার বলেন, শিগগিরই ম্যানেজিং কমিটির সভা আহবান করে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এদিকে ৬৩ নং নয়ারহাট বিডিসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দীপা সিকদারকে সম্প্রতি তার পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে এলাকাবাসী। পরে বগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার তাদের মুচলেকা রেখে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রিয়াজুল হক বলেন, খুব শিগগিরই অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইণানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস