পদ্মা সেতুর স্প্যান বসানো শেষ হওয়ায় সেতুটির দৃশমান সম্পন্ন হয়েছে। ৬ হাজার ১৫০ মিটারের সেতু উদ্বোধনের বছরেই ২৪ হাজার যানবাহন চলাচল করবে বলে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সমীক্ষায় তথ্যে বলা হয়েছে। প্রতি বছর সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচলের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে। এতে শুধু ঢাকা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনেই ১ দশমিক ২ শতাংশ মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার বাড়বে।
পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করার কথা থাকলেও হঠাৎ অনিয়মের কথা বলে অর্থায়নে পিছু হটে। এতেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশীয় অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পদ্মা সেতুতে প্রথম স্প্যান বসে। এরপর ২০১৮ সালে বসানো হয় চারটি স্প্যান, ২০১৯ সালে ১৪টি, ২০২০ সালে বসানো হয় ২২টি স্প্যান। ২০২০ সালে ১১ ডিসেম্বর সর্বশেষ ৪১তম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে শেষ হয় স্প্যান বসানো কাজ।
আজ রোববার (৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল প্রকল্প ২০২২ সালের জুন মাসে চালু করা হবে। একই সময়ে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেল চালু করা হবে।
সাধারণত, সেতু স্টিলের অথবা কংক্রিটের হয়। কিন্তু পদ্মা সেতুটি হচ্ছে স্টিল ও কংক্রিটের মিশ্রণে। সেতুর মূল কাঠামোটা স্টিলের, যা স্প্যান হিসেবে পরিচিত। খুঁটি ও যানবাহন চলাচলের পথ কংক্রিটের। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি খুঁটির সঙ্গে স্প্যানগুলো জোড়া দেওয়ার মাধ্যমে পুরো সেতু দৃশ্যমান হচ্ছে।
পদ্মা সেতু ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকার প্রকল্প। এটি বাস্তবায়িত হলে মোংলা বন্দর ও বেনাপোল স্থলবন্দরের সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। তাতে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২ শতাংশ বাড়বে বলে সরকার আশা করছে। পদ্মা সেতু চালু হলে এর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপিত হবে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সমীক্ষায় দেখা যায়, ২০২২ সালে পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলে ওই বছর সেতুতে চলাচল করবে প্রায় ২৪ হাজার যানবাহন। সংখ্যাটি প্রতিবছরই বাড়বে। ২০৫০ সালে প্রায় ৬৭ হাজার যানবাহন চলবে পদ্মা সেতু দিয়ে।
বাংলা৭১নিউজ/এমএস