বাংলা৭১নিউজ,(মুন্সীগঞ্জ)প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় দ্বিতীয় দফা ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে বিআইডব্লিউটিসির ৪নং ফেরিঘাটের অ্যাপ্রোচ সড়কসহ বেশকিছু এলাকা। ভাঙনের আশঙ্কায় রয়েছে দুই নম্বর ঘাটও। ফলে মাত্র একটি ঘাট দিয়ে সীমিত আকারে ফেরি চলাচল করছে।
এ প্রসঙ্গে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক বলেন, বুধবার রাত ৩টা থেকে ভাঙন শুরু হয় । দুই ঘণ্টার মধ্যে ঘাটটি বিলীন হয়ে যায়। এ ঘাটটি ‘ভিআইপি ফেরিঘাট’ নামে পরিচিত ছিলো।
তিনি আরও বলেন, সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫ টায় ৮ ফেরি দিয়ে সীমিত আকারে ফেরি চলাচল শুরু হয়। ভাঙনের আশঙ্কায় থাকায় ২ নম্বর রোরো ঘাটও সকাল থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে । সীমিত আকারে শুধু ১ নম্বর ঘাট দিয়ে ফেরি চলছে। ভাঙনের ফলে পার্কিং ইয়ার্ডও ছোট হয়ে আসছে। ঘাটের দোকান সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র এ কর্মকর্তা বলেন, আমরা তো ভাঙ্গন আটকাতে পারবো না। যতটুকু পারছি জিও ব্যাগ ফেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি; তবে সেটা খুব কঠিন। ১ নম্বর ফেরি ঘাট যাতে ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ না হয়ে যায় সে চেষ্টা চালাচ্ছি আমরা। আমরা পর্যবেক্ষন করছি; পরে আমরা একটি স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করব। আমরা চিন্তা করছি বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ঘাট স্থানান্তর করা যায় কিনা। আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা এখানে আছেন। আর না হলে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাট দিয়েই চলাচল করতে হবে। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে এটাই আপাতত করা যায়।
এর আগে পদ্মার তীব্র ভাঙনে গত ২৮ জুলাই শিমুলিয়ার ৩ নম্বর রো রো ফেরি ঘাট বিলীন হয়। এরপর ৯ দিনের মাথায় দ্বিতীয় দফা ভাঙন আঘাত হানে। মোট চারটি ফেরিঘাটের মধ্যে এখন বাকি থাকল একটি।
বাংলা৭১নিউজ/আরকে