বাংলা৭১নিউজ, রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাঘা ও নাটোরের লালপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় পদ্মা নদীতে নৌকাডুবে ২ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীরা তাদের লাশ উদ্ধার করে। এর আগে সকালে নৌকায় করে নদী পার হওয়ার সময় নৌকা ডুবে তারা নিখোঁজ হন।
নিহত দুই শিক্ষার্থী হলেন- লালপুর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের মন্টু আলীর ছেলে সবুজ আলী (১৮) এবং বাঘার খানপুর গ্রামের চাঁদ মিয়ার ছেলে মনিরুল ইসলাম (১৪)। সবুজ বাঘার দুরদুরিয়া কলেজের একাদশ শ্রেণির এবং মনিরুল খানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
রাজশাহীর সদর দমকল বাহিনীর সিনিয়র স্টেশন অফিসার ফরহাদ হোসেন জানান, শুক্রবার সকালে নিহতরা খেয়া ঘাট এলাকায় নৌকায় করে পাট কাটতে যাচ্ছিলো। নৌকাটিতে আরও ৪৫/৫০ জন লোক ছিল। এ সময় পদ্মা নদীর বাঘা ও নাটোরের লালপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী খানপুর এলাকায় পৌঁছলে নৌকাটি ডুবে যায়। অন্যরা সাঁতরে তীরে উঠলেও সবুজ ও মনিরুল নদীতে ডুবে যায়। খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্যের ডুবুরীর একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের খোঁজা শুরু করে। পরে তাদের সঙ্গে নাটোরের লালপুর দমকল বাহিনীর একটি ইউনিটও যৌথভাবে পদ্মা নদীতে উদ্ধার কাজ চালায়। প্রায় দুই ঘন্টা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে দুপুর ১টা ৭ মিনিটে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করে ডুবুরীরা।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, নিখোঁজ দুই জনই হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান। তারা অন্যের জমিতে কাজ করে আয় করে এবং এর পাশাপাশি পড়াশোনাও করে।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী মাহমুদ জানান, দুপুর ১টার দিকে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস