কুষ্টিয়ার মিরপুরে পদ্মা নদীর জেগে ওঠা চরের দখল নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত ও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অন্তত ১১ জনকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল আটটার দিকে উপজেলার নওদা খাদিমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তৌহিদুল ইসলাম (৪৫) মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া ইউনিয়নের নওদা খাদিমপুর গ্রামের মৃত মোজাহার আলী সরদারের ছেলে।
ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই এলাকায় পদ্মা নদীর চরের জমিতে চাষাবাদকে কেন্দ্র করে এলাকার সরদার বংশ ও গায়েন বংশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত দুই মাস আগে দাদাপুরীর চর নামে একটি নতুন চর জেগে ওঠে। জেগে ওঠা এই চরের দখল নিয়ে কিছুদিন ধরে দুই বংশের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রুবেল হোসেন জানান, রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল আটটার দিকে শাহজাহান সরদার ও কদু সরদারের নেতৃত্বে ৬০-৭০ জন অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে তার দাদা হাতিয়ার সরদারের বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় শাহজাহান সরদারের ছররাগুলিতে তার চাচা তৌহিদুল ইসলাম সরদার নিহত হন। হামলায় তার বড় চাচা জাহাঙ্গীর সরদারসহ ১৫-২০ আহত হয়েছেন।
নিহত তৌহিদুলের ছোট ভাই সুজন আলী জানান, শাহজাহান সরদার, কদু সরদার, মান্নান গায়েন, টিপু গায়েন ও রুবেল গায়েনসহ অন্তত শতাধিক লোক আমার চাচা আতিয়ার সরদারের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় আমরা ভাইয়েরা ঠেকাতে গেলে আমাদের ওপর হামলা করা হয়। ওদের অনেকের হাতে বন্দুক ছিল। গুলিতে আমার ভাই তৌহিদুল মারা গেছেন।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পদ্মায় জেগে ওঠা নতুন চরের দখলকে কেন্দ্র করে বিবাদমান দুটি বংশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার সরকার জানান, সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে তৌহিদুল ইসলাম নামে একজন নিহত হয়েছেন। তার মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুমিনুল ইসলাম জানান, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করেছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস