চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে রক্ষণাবেক্ষণ ও আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে নির্দিষ্ট অংশে বেসরকারি অপারেটর নিয়োগ করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। নির্ধারিত অংশে টিকিট কেটে ফি দিয়েই সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে হবে পর্যটকদের।
তবে সুশীল সমাজের নেতারা বলছেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত একটি সৈকতকে বাণিজ্যিকীকরণের জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়।
চট্টগ্রামের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত। আউটার রিং রোড প্রকল্পের আওতায় সাগরপাড়কে নান্দনিকতার সঙ্গে তৈরি করা হয়। সৈকতকে সামনে রেখে বসার ব্যবস্থাসহ রাতের বেলায় আলোর ব্যবস্থাও করা হয়। তবে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিপুল অর্থে গড়ে তোলা সৈকত প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একদিকে বিদ্যুৎ বিল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। আর বাজেট না থাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে নান্দনিকতা হারাচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বেসরকারি অপারেটর নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিডিএ।
কেমন হবে নতুন পরিকল্পনায় পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এমন প্রশ্নে সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামসের বলেন, আর্ন্তজাতিক মানের সমুদ্র সৈকত হিসেবে গড়ে তোলা হবে। যেখানে শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরনের রাইড, ক্যাবল কারসহ আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে। ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতকে দুটি জোনে ভাগ করে বেসরকারি অপারেটর দিয়ে পরিচালনা করা হবে। আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই পরিকল্পনার কাজ শুরু হবে। যেহেতু ব্যয়বহুল প্রকল্প তাই টিকিট কেটে ফি দিয়েই সৈকতের নির্ধারিত অংশে প্রবেশ করতে হবে দর্শনার্থীদের।
তবে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠা একটি সৈকতকে কোনো বাণিজ্যিকীকরণের জন্য ব্যবহার করা উচিত নয় বলে মনে করেন সাহিত্যিক ও সাংবাদিক বিশ্বজিত চৌধুরী।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে রোববার থেকে বৃহস্পতিবার ৩০ থেকে ৪০ হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে তা লাখ পেরিয়ে যায়।
বাংলা৭১নিউজ/এএস