মাছে ভাতে বাঙালি বলা হলেও বাঙালির পাত থেকে মাছ যেন হারাতে বসেছে।
লাগাতার ঊর্ধ্বমুখী দামের আঁচ তাঁতানো মাছের বাজারে। অবশ্য কয়েকদিনে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা দাম বেড়ে যাওয়াকে স্বাভাবিকই মনে করছেন বিক্রেতারা। বাজারে পণ্যের দাম বাড়া নিয়ে বিক্রেতারা বলেন, বাজারে ক্রেতাই নেই। অন্যান্য জিনিস কিনতে পকেটে টাকাই থাকে না।
এদিকে বাজারে আসা ক্রেতারা বলেন, মাছে-ভাতে বাঙালি এ প্রবাদ টা অনেক আগেই বাংলাদেশে থেকে চলে গেছে। আমরা ডালে-ভাতে বাঙালি হতে চেয়েছিলাম, তবে সেটাও আমাদের জন্য বেশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
দুই তিন দিনের ব্যবধানে মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই চিকন চালের দামও বেড়েছে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা। মোটা দানার এক কেজি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়। সরকারি হিসাবে এক বছরে বেড়েছে ৩০ টাকা।
বাজারে চালের সংকটের কথা জানিয়ে চাল বিক্রেতারা জানান, মিল মালিকরা বলেছে ধানের সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেড়েছে। আজ তিন দিন যাবত চালের বাজারে বেশ ঊর্ধ্বগতি রয়েছে। মিনিকেটে কেজি প্রতি প্রায় ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়েছে ও নজিরশাহ চালের কেজি প্রতি ৩ টাকা বেড়েছে।
আর চিনিতে বেড়েছে ২ টাকা। বাড়তি মসলার বাজারও। তাই ডাল ভাতের হিসাব মেলানোও যেন দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্তদের।
পণ্যের ক্রমাগত দাম বাড়ায় বিপর্যস্ত ক্রেতারা আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, বাজার তদারকির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান সবচেয়ে খারাপ। দেশে একবার কোনো পণ্যের দাম বাড়লে তার আর কমার কোনো নাম নেই। বাড়ছে তো বাড়ছেই।
দাম বৃদ্ধির দৌড়ে যেন পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে একেকটি পণ্য। এই দৌড়ে ঘাম ছুটে যাওয়া ভোক্তারা চান বাজারে চাহিদা মতো পণ্যের সরবরাহ, আর কষ্ট করে হলেও নিত্যপণ্যের দাম যেন থাকে তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাবের মধ্যে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ