বাংলা৭১নিউজ, পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে দুই ছাত্রলীগের নেতার বহিস্কার আদেশ উঠিয়ে নিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা ছাত্রলীগ।
সোমবার রাতে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বহিস্কার আদেশ তুলে নেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি জোর দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ছাত্রলীগের বহিস্কৃত ছাত্রলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, একটি কুচক্রি মহলের প্ররোচনায় কেন্দ্রীয় নেতারা ভুল তথ্য জেনে এই বহিস্কার আদেশ দিয়েছেন।
আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা আদৌ সত্য নয়। জামায়াত সমার্থিত ডক্টর আতাহার উদ্দিনের নাতি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক ইসফাক আবির দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা ছাত্রলীগের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য নানা ভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তার পছন্দের লোকজনকে ইউনিয়ন কমিটিতে না রাখতে পারায় তিনি আমাদের বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। তিনি যে সকল লোকের বিরুদ্ধে সুপারিশ করেছিলেন তারা কেউ আওয়ামী পরিবারের সদস্য নয়। তাই তাদের কমিটিতে স্থান দেয়া হয়নি।
তাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রতি অনুরোধ, তারা সঠিক তথ্য জেনে নতুন ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহার করেন। এছাড়াও ইসফাক আবির মির্জাগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারের জন্য বর্তমান কমিটিকে বহিস্কার করে নতুন কমিটি দেয়ার জন্য উঠে পরে লেগেছেন।
এসময় তার সাথে উপজেলা ছাত্রলীগের একাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য,দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ের গত ২৮ জানুয়ারী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারন সম্পাদক এস.এম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত একটি পত্রে পটুয়াখালী জেলা মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম জুয়েল এবং সাধারন সম্পাদক মোঃ রাকিব মৃধাকে দল থেকে বহিস্কার এবং পাঁচটি ইউনিয়ন কমিটিকে স্থগিত করা হয়। এর প্রতিবাদে ২৯ জানুয়ারী বিক্ষোভ, সমাবেশ এবং অবরোধ কর্মসূচী পালন করে মির্জাগঞ্জ উপজেলাছাত্রলীগের শত শত কর্মী।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস