বছরের শেষ দিনে কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে উত্তরের হিম অঞ্চল পঞ্চগড়। পৌষের মাঝামাঝি সময়ে কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে বেড়েছে শীতের মাত্রা। কনকনে বাতাসে বাড়ছে শীতের অনুভূতি। গত কয়েকদিন ধরে জেলায় তাপমাত্রা ১২ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ওঠানামা করছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের দেওয়া তথ্যমতে, আগামী দিনগুলোতে বঙ্গোপসাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যাবে। এতে নতুন বছরের শুরুতে তাপমাত্রা কমে শীত বাড়তে পারে। মাসের শুরু থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে শৈত্যপ্রবাহ চলতে পারে। সেই সঙ্গে কুয়াশাও বাড়তে পারে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৭ শতাংশ। এর আগে সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সোমবার সকাল ৯টায় এখানে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
এদিকে উত্তর হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল বাতাস ও ঘন কুয়াশার কারণে হাড়কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। ঘন কুয়াশার দাপটে বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল, খেটে খাওয়া, দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষ।
স্থানীয়রা বলছেন, এ শীত মৌসুমে তারা দিনের তুলনায় রাতে বেশি শীত অনুভব করছেন। দিন-রাতে দুই রকম তাপমাত্রা। রাতে তাপমাত্রা মাইনাস জিরো ডিগ্রিতে নেমে আসার মতো শীত অনুভব করছেন তারা।
উপায়ন্তর না পেয়ে সন্ধ্যা-ভোরে খড়কুটো জ্বালিয়ে ঠান্ডা কমানোর চেষ্টা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দিনে-রাতে দুই রকম তাপমাত্রার কারণে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, ‘হিমালয়ের কাছে হওয়ায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ার কারণে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৭ শতাংশ। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।’
তিনি আরও জানান, গত বছরের (২০২৩ সাল) ৩১ ডিসেম্বরে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিগত কয়েক বছরে এ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ