পঞ্চগড়ে আবারও তাপমাত্রার পারদ নামল ৯ ডিগ্রির ঘরে। পৌষের শীতের কাঁপছে উত্তরের এ হিমাঞ্চল। গত তিনদিন পর ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রার পারদ নেমে বাড়িয়েছে শীতের তীব্রতা।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৯টায় এর থেকে আরও কমে আসার আশঙ্কা রয়েছে। এতে করে বাড়তে পাড়ে শীতের মাত্রা। ১০ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা রেকর্ড হলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হয়ে থাকে। এটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। গত ২১ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকেই হালকা কুয়াশায় জড়ানো জেলার। রোদ উঠলেও গত দিনের মতো ঝলমলে ভোর নয়। উত্তরের প্রবাহিত হিমেল হাওয়ায় নতুন করে বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের মাত্রা। তবে জীবিকার তাড়নায় নিম্নবিত্ত মানুষদের কর্মজীবনের ব্যস্ততা দেখা যাচ্ছে সকাল থেকেই।
দিনমজুর হোসেন আলী ও চা শ্রমিক জামাল বলেন, কয়েকদিন পর আজ ঠান্ডা বেশি। সকালেই কাজে বের হচ্ছি, কনকনে শীতে কাজে যেতে মন না চাইলেও পরিবারের কথা চিন্তা করে কাজে যেতে হচ্ছে।
শীতের কারণে বেড়েছে জ্বর, সর্দি,ডায়েরিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগব্যাধী। প্রতিদিনই জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসকরা চিকিৎসার পাশাপাশি শীতে সুরক্ষা থাকতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।
জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, আজকে ফের তাপমাত্রা কমে ৯ ডিগ্রির ঘরে অবস্থান করছে। ১০ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা রেকর্ড হলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হয়ে থাকে।
এটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। রোববার ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৯টায় এর থেকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। গতকাল শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস