শীতের জেলা নামে খ্যাত উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। হিমালয়ের অনেক কাছাকাছি হওয়ায় এই জেলাকে হিমালয়য়ের কন্যা বলা হয়ে থাকে। হিমালয় পাদদেশে অবস্থিত হওয়ায় এ অঞ্চলে শীত মৌসুমে ডুবে থাকে শীতের আদলে।পাহাড়ি হিমেল হাওয়ায় গেলো ২ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এ অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৩-১০ ডিগ্রির ঘরে উঠা নামা করলেও আজ তা বেড়ে ১৫ ডিগ্রির ঘড়ে উঠেছে এসেছে তবে তাপমাত্রা বাড়লেও কমেনি শীতের দাপট। কয়েকদিনের তুলনায় আজ শীতের তীব্রতা ও কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে পুরো জেলা।
আজ শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ৯ টায় তেঁতুলিয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগেই সকাল ৬ টাই একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে মৃদু কুয়াশা ও শীত অনুভূত হতে দেখা যায়। বিশেষ করে এ জেলার যারা সাধারণ ও দিনমজুর রয়েছেন তারা পড়েছেন চরম বিপাকে৷ শীত তেমন একটা বেশি অনুভূত না হলেও শীত নিবারণের ক্ষেত্রে অনেকটা পিছয়ে তারা।এ বিষয়ে পঞ্চগড় শহরের রিক্সা চালক বলম হোসেন জানান, খুব শীত করছে জানি না সামনে যে কী হয়।
গরম কাপর পরে রিক্সা চালাই তারপরও শীতের কামড় থেকে রক্ষা পাই না। আমরা গরীব মানুষ কেউ সহযোগিতা করে যখন শীত চলে যায় তখন শীতবস্ত্র দেয় আর যখন শীত তখন কেউ খবর নেয় না। তাছাড়া কেউ পায় আবার কেউ পায় না।একই কথা জানান জেলার বোদা উপজেলার বাজারের আব্দুল মালেক। তিনি জানান, আমাদের পেট খায়। আমাদের উপর নির্ভর করে পরিবার। শীত অনেক করছে কিন্তু নিবারণের মতো তেমন গরম কাপড় নেই।
কারোনার কারণে বাজারের পুরোনো কাপড়রেও দাম অনেক বেশি আর নতুন কাপড়ের দাম তো আগুন।এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নার্থ রায় জানান, আজ (২৭ নভেম্বর) সকাল ৯ টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তবে গেলো ২ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তাপমাত্রা ১৪-১০ দশমিকে তাপমাত্রা উঠানামা করলেও আজ কিছু বৃদ্ধি পাচ্ছে।তিনি আরও জানান, হিমালয়ের হিমেল বাতাসের কারণে এ জেলায় তাপমাত্রা উঠানামা বেশি করে এবং বেশির ভাগ দিনেই শীতের পাশাপাশি আকাশ মেঘাছন্ন পাশাপাশি কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকে।
বাংলা৭১নিউজ/এএম