বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশ বিপুল সংখ্যক টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। বিএনপি নেতাকর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।এতে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নয়াপল্টন এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। থেমে থেমে এখনো সংঘর্ষ চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায়, মনোনয়ন শোডাউনে অংশ নিতে আসা নেতাকর্মীদের সঙ্গে বুধবার দুপুর পৌনে একটার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকলে নিক্ষেপ করলে পুলিশও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে। পরে বিএনপি কর্মীরা পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এখনও পর্যন্ত জানা যাচ্ছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন ফরম বিক্রি কেন্দ্র করে সড়কে বিএনপি নেতাকর্মীরা ভিড় করছিলেন। এতে সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। পুলিশ সড়ক খালি করার চেষ্টা করছিল। এ থেকেই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সূত্রপাত।
আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কি না তা নিয়ে শুরু থেকে নানা মত ছিল। এর মধ্যে ১১ নভেম্বর রোববার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নির্বাচনে আসার ঘোষণা দেয়। এর পরদিন মনোনয়ন ফরমও বিক্রি শুরু করে বিএনপি। মনোনয়ন ফরম বিক্রির শুরুর দিন থেকেই বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
এরমধ্যে গতকাল মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়ার সময় শোডাউন করা নির্বাচনী আচরণ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন উল্লেখ করে এমনটি না করতে সতর্ক করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির আদেশে বলা হয়, ‘তফসিল ঘোষণার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়নপত্র গ্রহণ বা জমা দেয়ার সময় মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহনসহকারে মিছিল ও শোডাউন করা হচ্ছে, যা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী আচরণ বিধিমালা ২০০৮-এর ৮ নম্বর বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
ইসির এ আদেশ আসার পরদিনই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিএনপি জোটের ডাকা হরতাল-অবরোধের মধ্যে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছিল। ভয়াবহতার চূড়ান্ত মাত্রা ছাড়িয়েছিল বাসে পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনাগুলো। তবে ওই নির্বাচন বর্জন করার পর ধীরে ধীরে আন্দোলনে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে বিএনপি। এরপর ওই নির্বাচনের বছরপূর্তি ঘিরে আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দেশের রাজ্যনৈতিক পরিস্থিতি।
এরপর সময়ের সাথে প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিভিন্ন দাবি আদায়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে আসছিল বিএনপি।
বাংলা৭১নিউজ/কেকে