বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: নয়া পল্টনে দলীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনার তিন মামলায় বিএনপির ৩৮ নেতা-কর্মীকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
আরও ২৭ জনকে তিন দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করতে হবে সাত দিনের মধ্যে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
মামলা তিনটির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুজন কুমার তালুকদার, শেখ মো. জসিম উদ্দিন এবং কাজী আশরাফুল হক আসামিদের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করে। অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে জামিন আবেদন করেন বিএনপির আইনজীবী নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেন।
বুধবার নয়া পল্টনে মনোনয়ন ফরম জমা দিতে উপস্থিত বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। তারা তিনটি গাড়িতে আগুন দেয়া ছাড়াও ভাঙচুর করে। যদিও বিএনপি দাবি করেছে, যারা আগুন দিয়েছে তারা বিএনপির কেউ নয়, ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মী।
তবে রাতেই পুলিশ পল্টন থানায় মোট তিনটি মামলা করে, আসামি করা হয় ৪৮৮ জনকে। আর গ্রেপ্তার করা হয় ৬৫ জনকে। পরে ধরা হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পুত্রবধূ নিপুন রায়কেও।
এই ৬৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেয়ার আবেদনে বলা হয়, বুধবার বেলা ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে হকস বে নামে গাড়ির বিক্রয়কেন্দ্রের উত্তর পাশে রাস্তায় পুলিশের ওপর আক্রমণ হয়।
আসামিরা বিএনপির কার্যালয় থেকে লাঠি-সোটা নিয়ে রাস্তায় দাঙ্গা করে এবং পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইট-পাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানসহ দুটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এতে পুলিশের পাঁচ কর্মকর্তা, দুজন আনসার সদস্যসহ ২৩ পুলিশ সদস্য আহত হন।
আসামিদের জামিন শুনানিতে মাহবুব হোসেন বলেন, ‘এই সরকারই শেষ সরকার নয়, আরও সরকার আসবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আসামিদের জামিন দিন। দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে আইনজীবী, সেনাবাহিনী এর দায়ভার নেবে না। নিতে হবে সরকারকে। তাই জামিন দিয়ে আজ নজির স্থাপন করুন।’
বাংলা৭১নিউজ/এস এইস