বিএনপিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ করার অনুমতি দেওয়ার খবরে নয়াপল্টন এলাকার আশপাশে জড়ো হতে শুরু করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। তবে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে রাস্তা কিংবা দোকানের আশপাশে পুলিশ দাঁড়াতে দিচ্ছে না কাউকে। কিছুক্ষণ পরপর পুলিশের টহল দল বাঁশি বাজিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিচ্ছে নেতাকর্মীদের।
মিরপুর-২ থেকে আসা আসলাম নামে এক বিএনপিকর্মী বলেন, আগামীকালের মহাসমাবেশ নিয়ে এক ধরনের উত্তেজনা কাজ করছে। আমরাও চাই শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে।
আজকে কেন এখানে এলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিজ উদ্যোগে চলে এসেছি। আমার এলাকার অনেকে এসেছেন। আজ এই এলাকাতেই থাকব।
কর্তব্যরত এক পুলিশ সদস্য বলেন, আমাদের কাজ হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা। বিশৃঙ্খলা এড়াতে এবং যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আমাদের কর্তব্য পালন করে যাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতির কথা জানান।
তিনি বলেন, সম্মান প্রদর্শন করে আওয়ামী লীগের তিন অঙ্গ-সংগঠন ও বিএনপিকে মহাসমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আজকের পরিবর্তে আগামীকাল সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আওয়ামী লীগের তিনটি অঙ্গ সংগঠন (আওয়ামী যুবলীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ) সমাবেশ এবং বিএনপি মহাসমাবেশ করার জন্য আমাদের কাছে লিখিত আবেদন করেছে। আমরা তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে আগামীকাল দল দুটিকে সমাবেশ করা অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ (২৭ জুলাই) বিএনপির মহাসমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিজেদের পছন্দমতো স্থান না পাওয়ায় একদিন পিছিয়ে ২৮ জুলাই সমাবেশ করার দিন ঠিক করেছে বিএনপি।
সমাবেশ পিছিয়ে যাওয়ার পরও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এবং আশপাশের অলি-গলিতে অবস্থান নিতে থাকেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে নেতাকর্মীদের চাপে নয়াপল্টন ভিআইপি সড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে থাকে। এ পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ১০ মিনিটের মধ্যে বিএনপি নেতাকর্মীদের সড়ক ছাড়ার নির্দেশ দেয়। সে নির্দেশ মেনে সড়ক ফাঁকা করে আশপাশের বিভিন্ন অলি-গলিতে অবস্থান নেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বুধবার (২৬ জুলাই) বিকেল থেকেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। কার্যালয়ের পাশে রাখা হয়েছে প্রিজনভ্যান ও সাঁজোয়া যান।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি