বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, রাজনৈতিক, আর্থ-সামাজিক সাম্য এবং ন্যায়বিচারসহ মৌলিক মানবাধিকার অধিকার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রের তিন অঙ্গ, নির্বাহী, আইনসভা বিচারবিভাগকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি শনিবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ মহিলা জজ এসোসিয়েশন আয়োজিত বাংলাদেশের নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সংবিধানের আলোকে সকলের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ন্যায় ও সমতাভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিচার বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সংবিধানের প্রস্তাবনায় বর্ণিত রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা ও সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিতকরণ।
স্পিকার নারীদের জন্য অনুকূল কর্ম পরিবেশ, নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও তাদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগকে ভূমিকা রাখার আহবান জানান।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বিচারপ্রার্থী জনগণের জন্য বিচারের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিচারের দ্বার উন্মুক্ত করতে হবে। তাহলেই দেশে ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পাবে।
নারী উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানের প্রশংসা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের নারীরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে নারীবান্ধব আইন ও নীতি প্রণয়নের ফলে নারী উন্নয়ন এবং ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে রোল মডেল।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশে নারীরা জাতীয় উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় স্বমহিমায় উদ্ভাসিত। তারা সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে। এ অগ্রযাত্রায় নারীদের পেছনে থাকার সুযোগ নেই। দৃঢ় মনোবল ও প্রত্যয় নিয়ে নারীরা এগিয়ে গেলে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। তিনি উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে নারীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ মহিলা জজ এসোসিয়েশন আন্তর্জাতিক মহিলা জজ এসোসিয়েশনের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় তাদের মাধ্যমে বাংলাদেশের নারী বিজ্ঞ বিচারকদের সফলতা ও অর্জনগুলো আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে তুলে ধরা সম্ভব হয়েছে। ফলে নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ যে একটি উজ্জ¦ল দৃষ্টান্ত এটি বিশ্বব্যাপী প্রতিভাত হয়েছে। তিনি বিচারকগণকে দক্ষতা, সততা, মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাওয়ার আহবান জানান।
বাংলাদেশ মহিলা জজ এসোসিয়েশনের সভাপতি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ তানজীনা ইসমাইলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জজ এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি জিনাত আরা, বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, জজ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জেসমিন আরা বেগম এবং প্রধান বিচারপতির সহধর্মিনী সামিনা খালেদ বক্তৃতা করেন। এসময় সুপ্রিম কোর্টের রেজিষ্ট্রারসহ আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং জেলা জজ, যুগ্ম জেলা জজ ও সহকারী জজগণ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস