বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: চিনের সামরিক বাড়বাড়ন্ত যতটা উদ্বেগ বাড়িয়েছে আমেরিকার, ততটাই দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে সন্ত্রাসবাদীদের স্বর্গ হয়ে ওঠা পাকিস্তান। দুই উদ্বেগ কমাতে ‘সদ্য বন্ধু’ ভারতের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ককে এ বার ঘনিষ্ঠতার মাত্রায় পৌঁছে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে মার্কিন কংগ্রেসে।
ভারতকে ন্যাটো (নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন) জোটে আনতে ফের একটি বিল এনেছেন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের ৬ প্রভাবশালী সদস্য। পর্যাপ্ত ভোটের অভাবে আগের বিলটি পাশ হয়নি।
বিলটি কংগ্রেসের দুই কক্ষে পাশ হওয়ার পর আইনে পরিণত হলে, মার্কিন বিদেশ মন্ত্রক ভারতকে ন্যাটো জোটের শরিক বলে ঘোষণা করতে পারবে। তার ফলে, বাড়তি নিরাপত্তার আশ্বাসের বিনিময়ে যেমন আমেরিকার সামনে নিজের পছন্দমতো অস্ত্র বেচার ক্ষেত্রটি আরও প্রসারিত হবে, তেমনই জোটের শরিক দেশগুলি অন্য কোন দেশকে তাদের অস্ত্র বেচতে চাইছে, তার উপরেও নজর রাখা সম্ভব হবে ওয়াশি়ংটনের। ভারতকে ন্যাটো জোটে আনলে আমেরিকার আরও সুবিধা, চিন ও পাকিস্তানকেও বার্তা দেওয়া যাবে।
চলতি সপ্তাহেই ‘এইচআর-২১২৩’ নামে ওই বিলটি কংগ্রেসে এনেছেন বিদেশ বিষয়ক কমিটির প্রভাবশালী সদস্য জো উইলসন। এর আগেও এক বার এই বিল আনা হয়েছিল হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের অভাবে সেটি পাশ হয়নি। সেই বিলটি এনেছিলেন অ্যামি বেরা।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিনদের মধ্যে অ্যামিই সবচেয়ে বেশি দিন ধরে সদস্য রয়েছেন কংগ্রেসের। ওই সময় অ্যামির সঙ্গী হয়েছিলেন হাউসের ইন্ডিয়া ককাস কমিটির চার কো-চেয়ার সদস্য জর্জ হোল্ডিং, ব্র্যাড শের্ম্যান, তুলসী গাবার্ড ও টেড ইয়ো।
বিলটিকে সমর্থন করার জন্য বিদেশ বিষয়ক কমিটির প্রভাবশালী কংগ্রেস সদস্য উইলসন ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব ফোরামের (ইউএসআইএসপিএফ) প্রধান চিকিৎসক মুকেশ আঘি।
বাংলা৭১নিউজ/সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন