বাংলা৭১নিউজ, সিলেট প্রতিনিধি: সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জিতবেন, এ বিষয়ে সুনিশ্চিত নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদর উদ্দীন আহম্মদ কামরান।
বলেন, ‘আমি সম্পূর্ণ আশাবাদী, নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত এবং সিলেটের মানুষ আমাদের সমর্থন করছে। আমরা শতভাগ আশাবাদী নৌকার বিজয়ে।’
কিন্তু যদি হেরে যান?- এমন প্রশ্নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের জন্য রাজনীতি করে। নির্বাচনী ফলাফল জনগণ যেটা দেবেন সেটা অবশ্যই আমি মাথা পেতে নেব।
সোমবার সকাল ৮.৫০ মিনিটে সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে ভোট দেন কামরান। তিনি এই করপোরেশনের দুই বারের মেয়র ছাড়াও পৌরসভা নির্বাচনেও চেয়ারম্যান হিসেবে জেতেন একবার। তবে ২০১৩ সালে হেরে যান বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে। এবার পরপর দুই নির্বাচনে মুখোমুখি তারা।
ভোট কেমন হচ্ছে-জানতে চাইলে কামরান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ভোটের কার্যক্রম ভালোই হচ্ছে। অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হচ্ছে।’
ভোটের প্রচারের শুরু থেকেই বিএনপি পরিবেশ নিয়ে নানা অভিযোগ করে আসছে। কর্মী সমর্থকদের হয়রানি করা, গ্রেপ্তারের অভিযোগ নিয়ে ভোটের আগের দিনও সোচ্চার ছিলেন দলটির নেতারা।
আরিফুল হক চৌধুরীর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কামরান বলেন, ‘বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ নির্বাচনের শুরুর দিন থেকে ছিল আজকে পর্যন্ত থাকবে। এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। বিশেষ করে নৌকার গণজাগরণ দেখে নিনি নানান কথা বলছেন।
কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট ঢুকতে না দেয়ার বিষয়ে বিএনপির প্রার্থীর অভিযোগ নিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বলেন, ‘এগুলো মোটেও ঠিক না। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত ভালো।’
‘ভোটাদের উপস্থিতিও অত্যন্ত সন্তোষজনক। সকাল থেকে লাইনের ভোটারদের উপস্থিতি অনেক সাথে মহিলাদের ভোটারও বেশি। এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। আসলে অবশ্যই আমি আপনারদের জানাব।’
মোবাইল ফোন নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না- এই নির্দেশনা কীভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নে জবাব আসে, ‘এটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। এই ব্যাপারে বোধ হয় আমার কোনো মতামত দেওয়া ঠিক হবে না। তবে অনেকে মোবাইল ফোন নিয়ে হয়ত ব্যালোটে সিল মারা পর বাইরে দেখলাম। সুতরাং আমি মনে করি এটা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার।’ সূত্র: ঢাকাটাইমস।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস