নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি খাগড়াছড়ি। ঝরনাধারা, আর সবুজ পাহাড়ের সমারোহের পার্বত্য এ জেলায় রয়েছে দর্শনীয় পর্যটন স্পট। এর মধ্যে শহরের প্রাণ কেন্দ্রেই রয়েছে জেলা পরিষদ হটিকালচার পার্ক। ঝরনা, লেক, ঝুলন্ত সেতুসহ বন্য পশু পাখি পার্কের পরিবেশকে করেছে আকর্ষণীয়।
স্রষ্টা যেন নিজ হাতে তুলির ছোঁয়ায় গড়ে দিয়েছেন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িকে। কি নেই? মেঘমালার সাথে পাহাড়ির মিতালী, অফুরন্ত সবুজের সমারোহ। প্রকৃতির কাছাকাছি আর মানসিক প্রশান্তির জন্য তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন ভ্রমণ পিপাসুরা।
এক পর্যটক বলেন, ‘খাগড়াছড়ি এসে খুব ভালো লাগছে। নাগরিক জীবন থেকে বের হয়ে এখানে আসলে বুঝা যায় আমাদের দেশটা কত সুন্দর। চারদিকে সবুজের সমারোহ।
জেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত জেলা পরিষদ হটিকালচার পার্ক। প্রায় ১০ একর পাহাড়ি ভূমির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে ঠিক রেখে এর অবকাঠামো তৈরি করা হয়। এখানে রয়েছে ঝুলন্ত ব্রিজ, লেক, ঝর্ণা, লাভ পয়েন্ট, ছোটদের জন্য রেল গাড়ি, নৌকায় ভ্রমণ, নাগরদোলাসহ চিত্তবিনোদনের সবকিছুই।
ভোরে পর্যটক তেমন দেখা না গেলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে পর্যটকদের সংখ্যাও বাড়তে থাকে।
এক পর্যটক বলেন, ‘এখানে পাহাড় এবং বৃষ্টি মিলে পরিবেশটা খুব ভালো লাগে। এখানে সিকিউরিটি সিস্টেমও ভালো।’
পার্কটিকে আরও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ৫০ কোটি টাকার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে পার্বত্য জেলা পরিষদ।
পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য নির্মলেন্দু চৌধূরী বলেন, ‘আমাদের বিনোদন কেন্দ্রগুলো নিয়ে বিশাল পরিকল্পনা রয়েছে। শিশুদের জন্য বিনোদন কেন্দ্র, ওয়াচ টাওয়ার করার পরিকল্পনা আছে।
ছুটির দিনে এ পার্কে প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার নানা বয়সী পর্যটক বিনোদনের জন্য ঘুরতে আসেন।
বাংলা৭১নিউজ/এবি