বাংলা৭১নিউজ, ফরিদপুর প্রতিনিধি: নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় উড়োজাহাজ দূর্ঘটনায় নিহত ফরিদপুরের মাহমুদুর রহমানের চতুর্থ জানাজার নামাজ শেষে লস্কারদিয়া গ্রামের দানেশমান বাগদাদী মাজার শরীফ পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জেলার নগরকান্দা উপজেলার লস্কারদিয়া আতিকুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের তার শেষ জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, নগরকান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ শাহিনুজ্জামান, ইউএনও বদরুযোদা সুমন, এস এম জালালদ্দিনসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ অংশ নেয়। ইমামতি করেন মাওলানা মো. কামরুজ্জামান। পরে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পর্ন করা হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার সময় মরদেহ বাহী এ্যাম্বুলেন্স তার নিজ বাড়ী লস্কারদিয়া পৌছলে সেখানে শত শত মানুষ তাকে দেখার জন্য ছুটে আছে। সকাল ৯টার সময় ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া শোকাহত পরিবারকে সমবেদনা জানাতে যায়। তিনি তার পরিবারকে তাৎক্ষনিক ভাবে ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে আরও ৫০হাজার টাকা প্রদান করা হয় বলে জানান উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বদরুযোদা সুমন।
উল্লেখ্য, নিহত মাহমুদুর রহমান রানার গ্রুপের তেজগাঁও অফিসের হেড অব সার্ভিস পদে কর্মরত ছিলেন। অফিসের কাজে সেদিন ঢাকা থেকে নেপালের যাচ্ছিল তিনি।তাঁর পিতার নাম মশিউর রহমান। সে সাত বছর আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। স্ত্রীর নাম সানজিদা বেগম ঝর্না।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস