বাংলা৭১নিউজ,এস.এম.রাসেল,মাদারীপুর প্রতিনিধি: নেপালের কাঠমুন্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা বিমানে অর্ধশতাধিক নিহত হয়। আহত অবস্থায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় ১০জন। নেপালের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এই দশজনের একজন মাদারীপুরের শিবচরের কবির মাদবর। তার শরীরের বিভিন্ন অংশ অগ্নিদগ্ধ হয়ে, পা ভেঙ্গে গুরুতর আহত হয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে তাকে দ্রুত সুস্থ করে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবী করেছেন তার পরিবার।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শিবচর উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামের মৃত মোকসেদ মাদবরের ছেলে কবির মাদবর (৪৫) দীর্ঘ দিন ধরে ঢাকায় উত্তরার কোটবাড়ি মাস্টার পাড়া এলাকায় স্বপরিবারে বসবাস করছেন। তিনি নেপাল ও বাংলাদেশে কসমেটিক্স ব্যবসার সাথে জড়িত। ব্যবসায়িক প্রয়োজনে তিনি মাঝে মধ্যে নেপালে যাতায়াত করতেন। এ কারণে কবির মাদবরও সেদিন ইউএস-বাংলা বিমানে নেপাল যাত্রা করেন। কাঠমুন্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা বিমানে থাকা ৩৬ বাংলাদেশির মধ্যে চারজন ক্রু এবং ২২ যাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু হলেও গুরুতর আহত হয়ে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় ১০জন। এ দশজনের একজন মাদারীপুরের কবির মাদবর। তার শরীরের বিভিন্ন অংশ অগ্নিদগ্ধ হয়ে পুড়ে গেছে, দু‘পা ভেঙ্গে গেছে ও মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে বলে পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে। কবির এখন নেপালের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কবিরের ছেলে শাওন মাদবর দুর্ঘটনার পর কাঠমুন্ডু যায় এবং এখনো সে হাসপাতালে অবস্থান করছে। এদিকে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় কবির বেঁচে থাকায় পরিবারের সদস্যরা শুকরিয়া আদায় করলেও উন্নত চিকিৎসার দাবী জানিয়েছেন। দূর্ঘটনার খবর বাড়িতে পৌছানোর পর পরিবারের মাঝে চরম অস্থিরতা বিরাজ করতে থাকে। বাড়িতে কান্নার রোল পড়ে যায়।
নেপাল হাসপাতালে অবস্থানরত কবিরের ছেলে শাওন বলেন, ‘বিমান দূর্ঘটনায় আমার বাবার শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে, পা ভেঙ্গে গেছে, মাথায় প্রচন্ড আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন। তাকে নেপাল হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হলেও আমরা তার সঠিক চিকিৎসা নিয়ে সন্দিহান। আমরা তার উন্নত চিকিৎসার দাবী করি।’
ঢাকায় অবস্থানরত কবিরের স্ত্রী হেনা বেগম বলেন, ‘বিমান দূর্ঘটনায় অনেক লোকের মৃত্যু হলেও আমার স্বামী গুরুতর আহতাবস্থায় বেঁচে আছেন এজন্য আল¬াহর কাছে আমরা শুকরিয়া জানাই। তবে আমরা চাই উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে তাকে দ্রুত সুস্থ করে তোলা হোক।’
কবিরের বড় ভাই আফসার মাদবর বলেন, ‘আমার ভাই এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। আমরা পরিবারের সকলে তার সুস্থতা নিয়ে চিন্তিত। আমরা চাই প্রয়োজনে তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানো হোক। যাতে সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস